গ্রেফতার-হয়রানিতে ব্যাহত সংবাদপত্রের স্বাধীনতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ২৩শে জানুয়ারী ২০২২ ০৬:১৮ অপরাহ্ন
গ্রেফতার-হয়রানিতে ব্যাহত সংবাদপত্রের স্বাধীনতা

গ্রেফতার-হয়রানি আর ক্রমাগত হুমকিতে ভারতের কাশ্মীরে ব্যাহত হচ্ছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। স্থানীয় প্রশাসন আর বিদ্রোহীদের রোষানলে পড়ে জীবনের হুমকি নিয়েই কাজ করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় সাংবাদিকদের। এমনকি, প্রশাসনের চাপে সম্প্রতি বন্ধ হয়ে গেছে সেখানকার একমাত্র প্রেসক্লাবটিও।


বিরোধপূর্ণ অঞ্চল হওয়ায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মুক্ত সাংবাদিকতায় নিয়ন্ত্রণারোপ করে আসছে স্থানীয় প্রশাসন। আর ২০১৯ সালে অঞ্চলটির স্বায়ত্বশাসন কেড়ে নেওয়ার পর থেকে নিয়ন্ত্রণারোপের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে ।


 

স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহীদের রোষাণলে পড়ে হুমকি, গ্রেফতার, আর হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মুক্ত সাংবাদিকতা।

 

স্থানীয় সাংবাদিক নেতারা জানান, সম্প্রতি সেনাবাহিনীর সহায়তায় সরকারপন্থি সাংবাদিকরা সেখানকার একমাত্র প্রেসক্লাবটি দখলে নেয়। এতে বিভিন্ন সাংবাদিক ফোরাম ও সংগঠনের তীব্র সমালোচনার মুখে বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন।

  

এক কর্মকর্তা বলেন,  প্রেসক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে আমাদের সাংবাদিক সমাজের ওপর একটি বড় ধাক্কা। আমরা যারাই এর সঙ্গে জড়িত তার কমবেশি প্রশাসনের হয়রানির শিকার হয়েছি। পরিস্থিতি এতটাই অবনতি হয়েছে যে, এখানে আমাদের পেশাগত দায়িত্বপালন কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা গোটা সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এর পরিত্রাণ কামনা করছি।


স্থানীয় সাংবাদিকরা আরও জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রেসক্লাব নতুন নতুন আইনের অধীনে থাকা শর্তগুলো পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।

 

আরেক সাংবাদিক জানান,  প্রেসক্লাবের নিবন্ধন পেতে হলে নাকি ছয়মাসের পুলিশি ভেরিফিকেশন রিপোর্ট লাগবে। আর এখানেই মূল সমস্যা। কারণ সরকার বা স্থানীয় প্রশাসন বিরোধী কোনো লেখালেখি হলেও, আমাদের পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয়। তারা কেন নিবন্ধন করছে না সে বিষয়েও কিছু জানায় না।

 

গ্লোবার প্রেস ফ্রিডম এনডেক্সে ভারতের অবস্থান ১৪২তম। এ অবস্থা চলতে থাকলে, কাশ্মীরের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা তলানিতে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা সাংবাদিক নেতাদের।