প্রকাশ: ২২ মে ২০২১, ১৬:১৪
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাকে হেনস্তার প্রতিবাদে এবং নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকগন। শনিবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পযর্ন্ত ঘন্টাব্যাপী প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকরা হাত ও মুখে কালো কাপড় বেধে প্রতিবাদ জানায়।
গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সমকাল প্রতিনিধি আসজাদ হোসেন আজু শিকদারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ চলাকালে বক্তব্য রাখেন, প্রেস ক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ভোরের পাতা প্রতিনিধি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তরের প্রতিনিধি শামীম শেখ, ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি গণেশ পাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্রথম আলো প্রতিনিধি এম রাশেদুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তেরর রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি হেলাল মাহমুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইত্তেফাক সংবাদদাতা আক্তারুজ্জামান মৃধা, সাবেক সহসভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব রাজবাড়ী প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম, নিউজ-২৪ এর রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম শামীম, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও আলোকিত বাংলাদেশ এর গোয়ালন্দ প্রতিনিধি উদয় দাস, দপ্তর সম্পাদক ও যায় যায় দিন পত্রিকার গোয়ালন্দ প্রতিনিধি কুদ্দুস উল আলম প্রমূখ।
প্রতিবাদ সভায় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক গণেশ পাল বলেন, সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ন স্থানে একজন নারী সাংবাদিককে হেনস্তার পর মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতিবন্ধকতা করা ছাড়া কিছুই নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জড়িত সেই সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে অবিলম্বে রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানাচ্ছি।
প্রেসক্লাবের সভাপতি আজু শিকদার বলেন, রোজিনা ইসলামকে যদি তথ্য চুরির অপরাধে যদি কারাগারে প্রেরণ করা হয়, তাহলে আমরাও প্রতিনিয়ত তথ্য চুরি করে যাচ্ছি। শুধু রোজিনা ইসলামকে কেন, সেই সাথে আমাদেরও কারাগারে প্রেরণ করুন। আমরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে চাই। গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা হাত ও মুখে কালো কাপড় বেধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ বলেন, রোজিনার হাতে হাতকড়া পড়ানো মানে দেশের সকল সাংবাদিকের হাতে হাতকড়া পড়ানো হয়েছে। দেশের মুক্ত সাংবাদিকতাকে বন্ধ করার চেস্টা চলছে। আমরা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ চাই।
এ সময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম একজন সৎ সাহসী পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক। বাংলাদেশের সচিবালয়ের মত সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ন একটি স্থানে তাকে পাঁচ ঘন্টারও বেশি আটকে রেখে হেনস্তা মুক্ত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার জন্য বড় হুমকি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা মনগড়া। সম্প্রতি একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা প্রথম আলোয় তুলে ধরার কারণে রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
আক্রশের শিকার হয়েছেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। রোজিনা ইসলাম অনুসন্ধান সাংবাদিকতার এক গৌরবের নাম। মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। আমরা হাত বেধে এবং মুখে কালো কাপড় বেধে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
সেই সাথে অবিলম্বে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি তাঁকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান বক্তারা।
#ইনিউজ৭১/এনএইচএস/২০২১