পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাড়ির সীমানায় বেড়া দেওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলী গ্রামে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত হলেন মো.সাইফুল ইসলাম (৩০), মো.আলামিন (১৮), মো.এমদাদুল হক (৪২) কলাপাড়া হাসপাতাল কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হাফেজ মোঃ শাজাহান (৫৫), মোসা:নাসিমা বেগম (৪৫), মাইনুদ্দিন (২০) নামের আহত অপর ব্যক্তিকে কলাপাড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা কয়েকজন জানান, শাহজাহান মিয়া ও এমদাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার সকালে সীমানায় এমদাদুল হক এর বাড়ির সীমানায় বেড়া দিতে গেলে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে।
আহত শাহজাহান বলেন, আজ সকালে এমদাদুল তার স্ত্রী জুই, শালা আলামিন আমার বাড়ির সীমানা প্রবেশ করে বেড়া দিতে আসে। তখন আমার ছেলে সাইফুল সীমানা বেড়া দিতে বাধা দেওয়ায় তাকে লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকে। একপর্যা মাথার উপর লাঠি দিয়ে আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়। আমি রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। এ সময় হাসপাতালের ভিতরেই ইমদাদুলের লোকজন আমাকে আমার স্ত্রী নাসিমাকে মারধর করে।
এ বিষয়ে আহত আলামিন বলেন, আমি দুলাভাই এর এমদাদুল বাড়ির সীমানায়, আমাদের বাড়ির সীমানায় বেড়া দিতে গেলে। কিছু বুঝে ওঠার আগে হঠাৎ সাইফুল তার বাবা একসাথে আমাদের উপরে হামলা চালায় এতে আমার ও দুলাভাই এমদাদুল হক মাথা ফেটে যায়। হাসপাতালে মারামারির ঘটনা ঘটনা ঘটেনি।
কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জুয়েল ইসলাম জানায় এই ঘটনা এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।