নোবেল তৃতীয়, প্রথম অঙ্কিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ২৯শে জুলাই ২০১৯ ১১:০১ পূর্বাহ্ন
নোবেল তৃতীয়, প্রথম অঙ্কিতা

ভারতের কলকাতায় জি বাংলার গান বিষয়ক রিয়্যালিটি শো ‘সা রে গা মা পা’র চূড়ান্ত আসরে বাংলাদেশের ‘বিস্ময় বালক’ নোবেল তৃতীয় হয়েছেন! বিশাল বিস্ময় নিয়ে বাংলাদেশের গান প্রেমিকরা বেশ আহতই হয়েছেন এমন ফলাফলে। এ প্রতিযোগিতার মধ্যমেই বাংলাদেশের মাঈনুল আহসান নোবেল ভারত ও নিজ দেশে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তাঁকে বিস্ময় বালকও বলা হয়। এ বিশেষণটি খোদ বিচারকরাই তাঁকে দিয়েছেন। তবে তাঁদের উচ্ছ্বাস এবং দর্শকের ভোটে এগিয়ে থাকলেও গানের প্রতিযোগিতায় শেষ পর্যন্ত প্রথম হতে পারেননি এই তারকা।

গতকাল রোববার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায়) প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হয় অনুষ্ঠানটি। সা রে গা মা পা-এর এবারের চূড়ান্ত পর্যায়ে যাঁরা নির্বাচিত ছিলেন সুমন মজুমদার, অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, গৌরব সরকার, নোবেল, স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক, প্রীতম রায়। অঙ্কিতাই চ্যাম্পিয়ন হলেন চূড়ান্ত আসরে। তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের মাঈনুল আহসান নোবেল। তিনি প্রীতমের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় রানারআপ অর্থাৎ তৃতীয় হয়েছেন। কালিকা প্রসাদ স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন সুমন মজুমদার। বিজয়ী অঙ্কিতা পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ২ লাখ রুপি ও একটি নতুন গাড়ি।

জানা যায়, গেল বছরের সেপ্টেম্বরে জি বাংলায় শুরু হয় ‘সা রে গা মা পা ২০১৮-১৯’ প্রতিযোগিতা। ভারত থেকে নির্বাচিত ৪৮ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন ৮ প্রতিযোগী (অবন্তি সিঁথি, তানজীম শরীফ, রোমানা ইতি, মেজবা বাপ্পী, আতিয়া আনিসা, মন্টি সিনহা ও মাঈনুল আহসান নোবেল)। নোবেল ছাড়া অন্যরা বিভিন্ন পর্যায়ে বাদ পড়লেও নোবেল আসেন চূড়ান্ত পর্বে। সম্পূর্ণ এ আয়োজনটিতে বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন শ্রীকান্ত আচার্য, শান্তনু মৈত্র ও মোনালি ঠাকুর। 

প্রতিযোগীতার চূড়ান্ত পর্বে নোবেল গেয়েছেন প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুর করা আর জেমসের কণ্ঠে জনপ্রিয় হওয়া ‘বাংলাদেশ’ গানটি। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি আরও গেয়েছেন আইয়ুব বাচ্চুর ‘সেই তুমি’ এবং প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গান দুটি। উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জের ছেলে মাঈনুল আহসান নোবেল বড় হয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। লেখাপড়া করেছেন বাংলাদেশ ও ভারতে। মাথায় গানের পোকা ঢোকে কলকাতায়। মাত্র ৬০০ টাকায় পুরোনো সিগনেচার ব্যান্ডের গিটার কিনে তা দিয়েই শুরু করেন সংগীতচর্চা। কলকাতায় মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ করে ২০১৪ সালে ঢাকায় ফেরেন নোবেল।

ইনিউজ ৭১/এম.আর