গাজাবাসীর পাশে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, ফের মানবতার বার্তা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আবারও সরব হলেন হলিউড অভিনেত্রী ও জাতিসংঘের সাবেক বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীর প্রতি নিজের সহানুভূতি ও সমর্থন জানিয়ে তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি বার্তা শেয়ার করেন, যা বিশ্বব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

স্থানীয় সময় শনিবার জোলি তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন শেয়ার করেন। ওই প্রতিবেদনে ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযানের ফলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় আরও প্রকট হয়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

জোলির শেয়ার করা পোস্টে বলা হয়, ইসরায়েল যখন আকাশপথ, স্থলপথ ও সমুদ্রপথে একযোগে গাজায় অভিযান চালাচ্ছে, তখন বাস্তুচ্যুতি ও মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত করে ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্বকে পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করছে। এটি একটি গভীর সংকেত, যা বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলার ফলে শুধু প্রাণহানিই ঘটছে না, একইসাথে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জোলির মতো বিশ্বখ্যাত তারকার আওয়াজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন, যা মানবিক আইনের চরম লঙ্ঘন। এই অবস্থায় জোলির বার্তা আন্তর্জাতিক সমাজকে আবারও গাজার দিকে দৃষ্টি ফেরাতে সহায়ক হতে পারে।

জোলি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বজুড়ে শরণার্থী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার। তাঁর এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে, গাজার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে তিনি এখনও দৃঢ়।

গাজা নিয়ে এমন বার্তা শেয়ার করার মাধ্যমে জোলি কেবল একজন মানবিক কর্মী হিসেবেই নয়, একজন মানবতাবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন। তাঁর এই বার্তা আরও একবার প্রমাণ করল, গাজার জনগণের পাশে দাঁড়ানো এখনো অনেকের কাছে নৈতিক দায়িত্ব।