ঈদে টাঙ্গাইলের ২০১ গম্বুজ মসজিদে দর্শনার্থীদের ভিড়

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। মসজিদের ৯০ শতাংশ নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পবিত্র কাবা শরীফের ইমামের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে।  

বর্তমানে মসজিদটিতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হচ্ছে। প্রতি জুমার খুৎবায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খ্যাতনামা আলেমরা এসে বয়ান দেন। মসজিদের ভেতরে পিতলে খোদাই করে লেখা হয়েছে পুরো কোরআন শরীফ। এছাড়া, পাশে ৪৫১ ফুট উচ্চতার একটি মিনার নির্মাণের কাজ চলছে, যা সম্পন্ন হলে দিল্লির কুতুব মিনারের উচ্চতাকেও ছাড়িয়ে যাবে।  

দর্শনার্থীরা মসজিদের নকশা ও কারুকাজ দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন। ঢাকার বাসিন্দা শরিফুল হক সপরিবারে মসজিদটি দেখে বলেন, এটি শুধু একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়, বরং স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন হয়ে থাকবে। তার পরিবারের সদস্যরা অনেক দিন ধরে এটি দেখার ইচ্ছা পোষণ করছিলেন, ঈদের ছুটিতে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন।  

বগুড়া থেকে আসা রফিক মিয়া জানান, লোকমুখে মসজিদটির কথা শুনে আগ্রহ জন্মেছিল। সরাসরি দেখে তিনি বিস্মিত হয়েছেন। তিনি বলেন, এত সুন্দর নকশা ও পরিকল্পনামাফিক নির্মাণকাজ সচরাচর দেখা যায় না।  

মসজিদটি দেখতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ আসায় কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিশেষত ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  

মসজিদের নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হলে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।