মাহফুজ আলম: ‘মঞ্চে থাকা তৃতীয় ব্যক্তি আমাদের কেউ নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
মাহফুজ আলম: ‘মঞ্চে থাকা তৃতীয় ব্যক্তি আমাদের কেউ নয়

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাত্র-জনতার সাহসিকতার উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ছাত্র-জনতা কিভাবে বুক পেতে দাঁড়িয়ে আছে, তা বিশ্বের কাছে একটি মডেল হয়ে উঠেছে।


ড. ইউনূসের বক্তব্যের শেষে তিনি তার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমসহ তিনজনকে মঞ্চে ডেকে এনে আন্দোলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তবে, মঞ্চে থাকা তৃতীয় ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। মাহফুজ আলম এক ফেসবুক পোস্টে জানান, ওই তরুণকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি দাবি করেন, ওই ব্যক্তি নাশকতার উদ্দেশ্যে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এবং তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে দলের কেউ অবগত ছিলেন না।


মাহফুজ আলম বলেন, “আমরা সিজিআই ইভেন্টে তার উপস্থিতি নিয়ে জানতাম না। মঞ্চে ডাকাডাকি করার সময় তিনি তড়িঘড়ি করে এগিয়ে যান এবং আমি তাকে আটকাতে পারিনি।” তিনি আরো বলেন, “এটি সম্ভবত ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর অন্তর্ঘাতের একটি পূর্ব-পরিকল্পিত কাজ।” 


মঞ্চে উঠে আসা ওই তরুণের নাম জাহিন রোহান রাজিন বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নাম নিশ্চিত করেছেন অনেকেই। এদিকে, তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে।


এ ঘটনার পর মাহফুজ আলম আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে আরো সতর্ক থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, “আমরা আগামী দিনে আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আরো সতর্ক থাকব এবং অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।”


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিতর্কটি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং ছাত্র আন্দোলনের সপক্ষে একটি শক্তিশালী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। ড. ইউনূসের বক্তব্যে ছাত্র-জনতার বীরত্বের উদাহরণ তুলে ধরা হলে, তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আন্দোলনকে নতুন সংকটের মুখে ফেলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।