অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি শ্রীমঙ্গলে জমা

নিজস্ব প্রতিবেদক
এহসান বিন মুজাহির জেলা প্রতিনিধি , মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি শ্রীমঙ্গলে জমা

শ্রীমঙ্গলের দ্বারিকাপাল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মনসুরুল হকের অপসারণের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুপস্থিতিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি দাস স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।


স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলনের সময় অন্য শিক্ষকররা যেখানে ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, সেখানে অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক আন্দোলনের বিরোধিতা করে স্বৈরাচারী সরকারের সহিংসতার সমর্থন করেন। তার এই কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীরা হতাশ ও মর্মাহত। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক কোটা আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের লেলিয়ে দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নির্দেশ দেন, যা একজন শিক্ষকের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত।


শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেন, সৈয়দ মনসুরুল হকের অবস্থান স্বৈরাচারী শাসনের পক্ষে এবং এটি কলেজের পরিবেশ নষ্ট করছে। শিক্ষার্থীরা মনে করেন, এই অধ্যক্ষ তার পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। তারা বলেন, "আমরা ১ দফা দাবি পেশ করছি—অধ্যক্ষের পদ থেকে তার অপসারণ। যদি তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করেন, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব।"


এছাড়াও স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছেন, অধ্যক্ষের পদে একজন ন্যায়পরায়ণ, নিরপেক্ষ এবং আদর্শবান ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে কলেজের সুশৃঙ্খল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।


এর আগে, ৯ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মনসুরুল হকের বিরুদ্ধে একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা আরেকটি স্মারকলিপি জমা দেন। 


এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু তালেব বলেন, "ছাত্রদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এটি যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" 


শ্রীমঙ্গলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই পদক্ষেপ অধ্যক্ষের কর্মকাণ্ড নিয়ে কলেজে উত্তেজনার ইঙ্গিত দেয়, যা প্রশাসনের কাছে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার দাবি রাখে।