মানুষ কি দেখে বোঝে না আমাদের মধ্যে সম্পর্ক নেই : শাকিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ২৬শে অক্টোবর ২০২২ ০৫:৩১ অপরাহ্ন
মানুষ কি দেখে বোঝে না আমাদের মধ্যে সম্পর্ক নেই : শাকিব

শাকিব খান ও শবনম বুবলীর বৈবাহিক সম্পর্ক অটুট নাকি তারা বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন- শোবিজে কান পাতলে এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। সাধারণ মানুষেরও বিষয়টি নিয়ে জানার আগ্রহের কমতি নেই।


এই গুঞ্জনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছেন চিত্রনায়িকা বুবলী। শাকিব খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের গুজব উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের গুজবের খবর খুবই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে, যার কোনো ভিত্তি নেই। আমাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হলে এখন কেন আমরা বিয়ে আর সন্তানের বিষয়টি সামনে আনব? তাহলে তো আট মাস আগেই আনতাম। আসলে কে বা কারা এ ধরনের ভিত্তিহীন গুজব ছড়াচ্ছেন তা বোধগম্য নয়।


তিনি আরও বলেন, আমাদের সন্তানের বিষয়টি সামনে আনার পর থেকে নানা ভিত্তিহীন গুজব অনেকে সামনে এনে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাইছেন যা আসলে ঠিক নয়। আমরা বিয়ে করেছি, সন্তান পৃথিবীতে এসেছে সুন্দর একটি পরিবারের জন্য। সুন্দরভাবে সংসার করার জন্য, বিচ্ছেদের জন্য নয়। কাজেই এ ধরনের খবরের কোনো ভিত্তি নেই।


তবে শাকিবের গলায় ভিন্ন সুর। তাদের (শাকিব-বুবলী) দাম্পত্যে যে ফাটল ধরেছে, সেই ইঙ্গিতই দিলেন তিনি।সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে শাকিব জানান, নয় মাস আগে সে (বুবলী) আমেরিকা থেকে আসার পর তার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কি নেই সেটা যারা দেখেও না দেখার এবং বুঝেও না বোঝার ভান করে, সবাইকে কি আমার গিয়ে বুঝিয়ে আসতে হবে?


সন্তানের বিষয়টি গোপন করা প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, আমি তাকে (বুবলী) সন্তানের কথা আড়াল রাখতে বলেছিলাম? নিজের ক্যারিয়ারের কথা ভেবে তিনি সেটা প্রকাশ করেননি। মাঝে সে অনেক কিছুই করেছে। সব খবরই কানে আসে, থাক সেসব কথা।তিনি স্পষ্ট জানান, চাইলেই অনেক সত্য প্রকাশ করতে পারি না। বাচ্চাটা (শেহজাদ খান বীর) বড় হচ্ছে। আমি চাই না, এ বিষয় নিয়ে আগামীতে তার মনে কোনো বাজে প্রতিক্রিয়া তৈরি হোক।


নায়ক যোগ করেন, আব্রাম খান জয় ও শেহজাদ খান বীর আমার প্রিয় দুই সন্তান। তাদের নিয়েই আগামীর পথ পাড়ি দিতে চাই।প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২০ জুলাই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শাকিব-বুবলী। ২০২০ সালের ২১ মার্চ তাদের ঘর আলো করে আসে প্রথম সন্তান শেহজাদ খান বীর। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ছেলের ছবি পোস্ট করে সন্তান জন্মের খবর জানান তারা।