যে ইচ্ছে অপূর্ন থাকলো কবরীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ১৭ই এপ্রিল ২০২১ ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
যে ইচ্ছে অপূর্ন থাকলো কবরীর

না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বরেণ্য অভিনেত্রী ও পরিচালক সারাহ বেগম কবরী। রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ কিংবদন্তি। ‘মিষ্টি মেয়ে’ খ্যাত এই অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে শোবিজ অঙ্গনে।


১৯৬৯ সালে চুয়াডাঙ্গায় প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘কবরী রোড’। চুয়াডাঙ্গা শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। ৪০০ মিটার দীর্ঘ রাস্তাটি পৌরভবন ও সরকারি কলেজকে সংযুক্ত করেছে। কবরীর নামে ১৯৬৯ সালে সড়কটির নামকরণ হয়। ভক্তদের ভালোবাসায় ৫২ বছর ধরে রাস্তাটি টিকে আছে। এই রাস্তায় রয়েছে সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি অফিস, অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সাংসদ সোলায়মান হক জোয়ার্দারের বাসভবন।


বেঁচে থাকতে কবরীর ইচ্ছা ছিলো একবার হলেও সেখানে যাবেন। কিন্তু সে ইচ্ছা আর পূরণ হলো না তার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ভক্তদের ভালোবাসার অপূর্ব নিদর্শন এই ‘কবরী রোড’ নিজের চোখে দেখা হয়নি। বেঁচে থাকতে রাস্তাটি দেখে যেতে চাই।’


বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান চিত্রগ্রাহক বেবী ইসলামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। ১৯৬৯ সালে চুয়াডাঙ্গায় শুটিং হয়েছিল নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘কখগঘঙ’ সিনেমার, যার প্রধান চিত্রগ্রাহক ছিলেন বেবী ইসলাম এবং সহকারী চিত্রগ্রাহক মোরশেদ আহমেদ ওরফে তোকা মিয়া। এই দুজন সম্পর্কে ছিলেন মামাতো-ফুফাতো ভাই।


কাহিনির প্রয়োজনে সিনেমাটির বড় একটি অংশের শুটিং হয়েছিল মোরশেদ আহমেদের চুয়াডাঙ্গা শহরের বাড়িতে। এই বাড়ির অবস্থান বর্তমানের কবরী রোডে। বাড়ির মালিক সপরিবারে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করছেন। বাড়ির একটি অংশে ব্যবসায়ী আখের আলী স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ থাকেন। অপর অংশ ‘কবরী মেস’ নামে পরিচিত।


‘কখগঘঙ’ সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সারাহ বেগম কবরী, রাজ্জাক, আনোয়ার হোসেন, সুরস্রষ্টা আলতাফ মাহমুদ, রহিমা খালা ও বেবী ইসলামের স্ত্রী তন্দ্রা ইসলাম। কবরী রোড প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তন্দ্রা ইসলাম ২০১৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘১৯৬৯ সালে যখন চুয়াডাঙ্গায় “কখগঘঙ” সিনেমার শুটিং হয়,


তখন কবরী খুব জনপ্রিয় ছিলেন। সবাই দেখতে আসত। বলত, কবরী কোথায় থাকে? লোকজন দেখিয়ে দিত, ওই যে ওই বাড়িতে। রিকশাচালকেরা উৎসুক লোকজনকে নিয়ে আসতেন। শুটিংয়ের এক মাসেই এভাবে মুখে মুখে বোধ হয় রাস্তাটির নাম কবরী রোড হয়ে গেল।’


#ইনিউজ৭১/তুষার/২০২১