রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফারুক হোসেনকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে, বিশেষত ছাত্রলীগের এক নেতার সঙ্গে চাঁদা চাওয়ার ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ফারুক হোসেনকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।"
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেন এবং ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ফারুকের সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে যে, ফারুক হোসেন ওই মামলার আসামি, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈকত রায়হানকে বাঁচানোর জন্য চাঁদা চেয়েছেন। এ নিয়ে মোবাইল ফোনে তাদের কথোপকথনের ৯ মিনিট ৭ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে, যা বিষয়টিকে আরো স্পষ্ট করে।
এখন এ ঘটনা ছাত্রদলের মধ্যে একটি বড় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে, এবং ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলছেন, কি কারণে এ ধরনের কার্যকলাপ ঘটছে এবং এর প্রভাব কিভাবে তাদের আন্দোলন ও সংগঠনকে প্রভাবিত করবে।
ফারুক হোসেনের বহিষ্কার হওয়ার পর ছাত্রদল তার সাংগঠনিক শৃঙ্খলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর জন্য তৎপর থাকতে বলেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।