কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র-জুনিয়র সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি -কুমিল্লা
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৩রা মার্চ ২০২২ ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র-জুনিয়র সংঘর্ষ

ক্যাম্পাসে সদ্য আসা জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ‘ম্যানার শিখাতে গিয়ে নিজেদের মধ্যেই সংঘাত বাধিয়েছেন সিনিয়র শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২ মার্চ) রাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মুক্তমঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।


জানা যায়, মার্কেটিং বিভাগের জুনিয়র ১৫ তম ব্যাচের (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের ক্লাস শেষে ‘ম্যানার শেখানোর নাম করে একই বিভাগের সিনিয়র ১৪ তম ব্যাচের (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) কিছু শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন। তারা সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট বলে জানা যায়। এক পর্যায়ে ঐ ব্যাচেরই মেসের শিক্ষার্থীরা হলের শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে যেতে বলে এবং তাদেরকে রেখে কেনো ম্যানার শিখাতে গেলো তা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।


পরবর্তীতে এ ঘটনার সূত্র ধরে ওই দিন সন্ধ্যায় সহপাঠী সানজানা ইসলামের ফোন কলে মার্কেটিং বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলাম, রাসেল, সুমন, পাভেল ও শরীফ মুক্তমঞ্চে যায়। তখন তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে হুট করে পাভেলকে আক্রমণ করেন একই বিভাগের সহপাঠী রেজোয়ান, সাফায়েত, তুষারসহ আরো কয়েকজন।


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাভেল রানা বলেন, ‘আমাকে আমার বান্ধবী সানজানা ইসলাম কল দিয়েছে তাই আমিসহ আমার হলের কয়েকজন বন্ধু মিলে সেখানে যাই। যাওয়ার পর দেখতে পাই সেখানে আমাদের ক্লাসের আরো কয়েকজন বন্ধু উপস্থিত ছিলো। তারপর বুঝতে পারলাম তারা পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে।


এ ব্যাপারে সানজানা ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে অসম্মতি জানিয়ে ফোন কেটে দেন।


বঙ্গবন্ধু হলে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হঠাৎ পাভেলের সহপাঠী শরীফ দৌড়ে হলে এসে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে। এই অবস্থায় হলের শিক্ষার্থীরা তার সাথে বের হতে চায়। তখন হলে অবস্থানরত কুবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।


এ ব্যাপারে রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, এটি একটি বিভাগের নির্দিষ্ট একটি ব্যাচের সমস্যা। ছাত্রলীগের কোন ঘটনা নয়। তবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে আমি সবাইকে ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দিই এবং ওদের সিনিয়রদের ব্যাপারটি বুঝিয়ে দেই যেন পরবর্তীতে আর এরকম কোন ঘটনা না ঘটে।


কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এটি একটি তুচ্ছ ঘটনা। আমি পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে এসে সবকিছু জেনে দুই পক্ষকে মিলিয়ে দিয়েছি।


এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি ছাত্র প্রতিনিধি ও প্রক্টরিয়াল টিমকে পাঠিয়েছিলাম। তারা সেখানে যাওয়ার পর কাউকে পায়নি। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিব।