চলতি মাসেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের হল কমিটি দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর থেকেই হল কমিটি নিয়ে ছাত্রলীগের ভিতরে-বাইরে চলতে থাকে গুঞ্জন। কিন্তু হল কমিটি নিয়ে ছাত্রলীগের ‘টালবাহানা’ আর শেষ হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। চলতি মাসে তো কমিটি হচ্ছেই না; বরং আদৌ কমিটি হবে কিনা এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি মাসে (জুলাই) সম্মেলনের মাধ্যমে হল কমিটি দেয়ার ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তথ্যমতে, ২৫ জুলাই রাবিতে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সেই তারিখ পেড়িয়ে গেলেও সম্মেলনের কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, চলতি মাসে হল কমিটি দেয়ার কথা থাকলেও সময় স্বল্পতার কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, এই মাসে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি হল কমিটি দেয়ার জন্য। তবে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ব্যাস্ত ছিলেন। তারা সময় দিতে না পারায় সম্মেলন বা কমিটি কোনোটাই সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কবে নাগাদ কমিটি হতে পারে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে হল কমিটি দেয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি সেপ্টেম্বরে কমিটি দিতে পারব। এদিকে, রাবি ছাত্রলীগের হল কমিটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, হল কমিটি দেয়ার কথা আসলে নেতাকর্মীদের শান্তনা দিয়ে রাখা হচ্ছে। কমিটি দেয়া হবে বলে আমাদের মনে হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল মাঠে একসঙ্গে ৮ টি হল শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনের পরদিন ২৩ নভেম্বর তিনটি এবং ২৪ নভেম্বর চারটি হলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। বাদ রাখা হয় শের-ই-বাংলা হল। এর আগে, একই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ, শাহ মখদুম ও সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর ১৭ দিন পর নবাব আব্দুল লতিফ হলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনের প্রায় চার মাস পর বাকি দুটি হলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে, শহীদ জিয়াউর রহমান হলে ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য কপিল দেব সরকারকে ছাত্রলীগের সভাপতি করে কমিটি ঘোষণার একদিনের মাথায় তুমুল বিতর্কের কারণে তা স্থগিত করা হয়। ফলে শের-ই-বাংলা ও জিয়া হলে কমিটি শূণ্য থাকে। এখন পর্যন্ত ওই দুটি হলে ছাত্রলীগের কমিটি নেই।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।