রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার বান্ধবীর করে ছবি তুলে তাকে জিম্মি করে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে তিন স্থানীয় যুবকের বিরুদ্ধে। এসময় মারধর করে জোরপূর্বক মোবাইল ফোন, টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে জানান ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগকারী ওই শিক্ষার্থীর নাম নাসির। সে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১ম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর। তার বাসা সিরাজগঞ্জে। গত চার মাস ধরে সে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচন্ডী এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। অপরদিকে অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম রাজু। তার বাড়ি মেহেরচন্ডী এলাকায়। সে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকি দুজনের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
নাসির অভিযোগ করে বলেন, ‘শুক্রবার আমার জন্মদিন ছিল। বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিন পালন শেষে আমি মেসে চলে আসি। পরে জন্মদিনের উপহার দিতে আমার কাজিন মেসের সামনে আসে। আমি জন্মদিনের উপহার নিতে গেলে হটাৎ করে তিন বহিরাগত যুবক এসে অশালীন ভাষায় কথা বলে এবং আমার সামনে আমার কাজিনকে কুপ্রস্তাব দেয়। আমাকে হটাৎ মারধর শুরু করে তারপর আমার কাজিনকে জোরপূর্বক আমার রুমে নিয়ে এসে আমাদের ছবি ওঠায় এবং ঘন্টা ব্যাপী আটকে রেখে শারীরিকভাবে আমাদের লাি ত করে। পরে অমারা কান্নাকাটি করে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করলে তারা আমাদের কাছের ফোন এবং টাকা নিয়ে নেয় এবং মঙ্গলবারের মধ্যে বিশ হাজার টাকা দাবি করে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাসিরের বিভাগের এক বড় ভাই বলেন, ‘নাসিরকে চাঁদা দেয়ার জন্য প্রত্যেক সময় চাপ দেয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে এখন সে আতঙ্কিত হয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে এবং ভয়ে মেসে যেতে পারছে না।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে সোমবার দুপুরে রাজুর নম্বরে (০১৭১৮৭৮০৭০৫) ফোন করা হয়। একজন ফোন রিসিভ করে নিজেকে রাজু হিসেবে পরিচয় দিলেও তার বাড়ি মৌলভীবাজার বলে জানায়। তিনি জিম্মির বিষয়টি শুনে অবাক হন এবং ফোন কেটে দেন। এর কিছুক্ষণ পর একাধিকবার ফোন করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যপক লুৎফর রহমান বলেন, ওই শিক্ষার্থী আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।