রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে শিক্ষককে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকেলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভবনের নিজের কক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষককে তালাবদ্ধ করে তার বিচার দাবি করে শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম এটিএম এনামুল জহির। তিনি আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। মারধরের শিকার শিক্ষার্থী হলেন সুপ্ত। তিনি চারুকলা বিভাগের সিরামিকস এন্ড স্কাল্পচার বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
মাধরের শিকার শিক্ষার্থীর অভিযোগ, আমি আমার এক বান্ধবীকে নিয়ে হাঁটছিলাম। তখন এই শিক্ষক বান্ধবীকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন কটু মন্তব্য করেন। আমি জিজ্ঞেস করি যে, কেন তিনি এসব বললেন। তখন আমার হাত ধরে মোচড়াতে থাকেন। এক পর্যায়ে আমাকে কিল-ঘুষি মারা শুরু করেন। শেষ পর্যায়ে সিরাজী ভবনের প্রহরীরা এসে আমাকে উদ্ধার করে।
ঈসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের এক প্রহরী বলেন, আমি দেখেছি যে এক ছেলেকে জহির স্যার হাত ধরে মোচড়াচ্ছেন। ছেলেটাও স্যারকে মারতে চাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা কয়েকজন গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে সরিয়ে দেই। শুনলাম স্যার নাকি ওই ছাত্রের সাথে থাকা মেয়েকে কিছু বলেছেন। এটা নিয়েই ঝামেলা হয়। শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখা শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই জহির স্যারের নামে আগেও অনেক অভিযোগ রয়েছে। এবার তাকে আর ছাড় পেতে দিবো না। শিক্ষার্থীকে মারধরের শাস্তি তাকে পেতেই হবে। প্রয়োজনে অনশনে যাবো আমরা।
অভিযোগ আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একজন শিক্ষক, রিকশাচালকসহ একাধিকজনকে বিভিন্ন সময় মারধর করেছেন এই শিক্ষক। এছাড়া দীর্ঘদিন রামেক হাসপাতালের একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন এনামুল জহির। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুফর রহমান বলেন, শিক্ষক মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এড়িয়ে যেতে চাইছেন ব্যাপারটা। এই মুহূর্তে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।