রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী তরিকুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে রাবি শাখা সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। মঙ্গলবার বিকেলে সংগঠনটির আহ্বায়ক মাসুদ মোন্নাফ ও যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে এ দাবি জানান। এতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২ জুলাই ক্যাম্পাসে কোটা আন্দোলনের ঘোষণা দিলে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এতে ২০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী আহত হন। হাতুড়ি, লাঠি, পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় তরিকুলকে। পা দিয়ে লাথি মেরে থেতলে দেয়া হয় তার মাথা। সেদিনের লোমহর্ষক হামলার চিত্র দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম গুরুত্বের সাথে সম্প্রচার করে। ভিডিও ফুটেজে হামলাকারীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
তৎক্ষণাৎ তরিকুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলেও সন্ত্রাসীদের চাপের মুখে চিকিৎসা না করেই তরিকুলকে বের করে দেয়া হয়। পরের দিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তরিকুলের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন, হামলাকারীদের শাস্তিসহ নিরাপদ ক্যাম্পাসের প্রতিশ্রুতি দেন প্রক্টর মহোদয়। কিন্তু শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের লিখিত অভিযোগের পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুর্বৃত্তদের ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘটনার একবছর পার হলেও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা এখনও ক্যাম্পাসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে প্রশাসনের একচোখা নীতিসহ স্পষ্ট দুর্বলতা, শিক্ষার্থীদের প্রতি অনীহা ও রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির দিকটি স্পষ্ট। তরিকুলের উপর সশস্ত্র হাতুড়ি হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ কোন শিক্ষার্থীর যেন তরিকুলের মত অবস্থা না হয়, লেজুড়বৃত্তিক ধারা যেন শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে রাজনীতি করার মাধ্যমে প্রকাশিত না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।