রাবিতে যৌন হয়রানিকারী শিক্ষকের অব্যাহতি চায় শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ১লা জুলাই ২০১৯ ০৬:১২ অপরাহ্ন
রাবিতে যৌন হয়রানিকারী শিক্ষকের অব্যাহতি চায় শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগযুক্ত শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অভিযুক্ত শিক্ষকের অব্যহতি চেয়ে বিভাগে লিখিত আবেদন করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে পরিচালক বরাবর অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণুকুমার অধিকারীকে আইইআরের সকল শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যহতি চেয়ে এ আবেদন করা হয়। ইনস্টিটিউটের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, এদিন আইইআরের পরিচালক অধ্যাপক আবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে বিভিন্ন বর্ষের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। এসময় তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের পাশাপাশি অপছন্দের শিক্ষার্থীদের নম্বর কমিয়ে দেয়া, চেম্বারে ডেকে হয়রানি, ফেইসবুকে বিভিন্ন ব্যাচের গ্রুপের কথপোকথনের স্ক্রিণশট নিয়ে হয়রানির অভিযোগও খতিয়ে দেখতে অনুরোধ জানান। এছাড়াও আইইআরের তিন শিক্ষার্থী ওই শিক্ষকের একটি কোর্সের খাতা পুর্নমূল্যায়নেরও লিখিত আবেদন জানান।

আইইআর সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুন আইইআর পরিচালক বরাবর ৪র্থ এক ছাত্রী যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ দেন। একই দিন ২য় বর্ষের আরেক ছাত্রী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে একই অভিযোগ আনেন। পরে ২৭ জুন এ ব্যাপারে লিখিত দেন। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে ২য় ও ৪র্থ বর্ষের সকল শিক্ষাকার্যক্রম থেকে তাকে সাময়িক অব্যহতি দেয়া হয়।  পরে গত ২৮ জুন শুক্রবার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে অভিযোগকারী ছাত্রীদের চাপ দেয়া হচ্ছে এই মর্মে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় দুটি জিডি করা হয়। এরপর গত রবিবার অভিযুক্ত শিক্ষকের সবোর্চ্চ শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন করেন আইইআরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার পরিচালককে দেয়া আবেদনপত্র দুটিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ‘আমরা চলমান ঘটনার প্রেক্ষিতে সঠিক তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণুকুমার অধিকারীকে নিয়ে বর্তমান ও আগামী কোর্সসমূহের ক্লাস-পরীক্ষায় বৈষম্য ও যৌন হয়রানির মতো জঘণ্য ও অনৈতিক কর্মকান্ডের আশঙ্কা করছি। এই মর্মে আমাদের চলমান ও আগামী কোর্সসমূহের সকল প্রকার দায়িত্ব থেকে সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণুকুমার অধিকারীর অব্যহতি চাই।’

আইইআরের ৪টি বর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক নানাভাবে আমাদের হয়রানী করে। তার পছন্দের শিক্ষার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দেয়, অপছন্দের শিক্ষার্থীদের নম্বর কমিয়ে দেয়। তার ভয়ে আমরা মুখ খুলতে পারিনা। ভবিষ্যতেও যে তিনি এমন করবেন না এর গ্যারান্টি কে দেবে? আমরা ওই শিক্ষকের সকল শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যহতি চেয়ে আবেদন দিয়েছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইইআরের পরিচালক অধ্যাপক আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীরা আবেদন করেছে। ব্যস্ততার কারণে আজকে (সোমবার) মিটিংয়ে বসতে পারিনি, আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে বসা হবে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব