চীন সরকারের চাঙসা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের আমন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সামিটে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ। তিনি চাঙসা পেীরসভার মেয়র হুজংজিয়ং ও এশিয়া প্যাশিসিপিক সিইও এসোসিয়েশন এর সভাপতি ঝেঙয়নজির আমন্ত্রণে আন্তর্জাতিক হাই-এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিং সামিট-২০১৯ অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছে। জানা গেছে, শেখানে বিশ্বের প্রায় ৫০০ জন সিনিয়র রাজনীতিবিদ, একাডেমিয়ান এবং সিআইপি অংশগ্রহণ করবেন এবং কম মূল্যে গুণগতমানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা উৎপাদন ও বন্টন বিয়য়ে আলোচনা করনে। এই সামিটের মূল থিম হচ্ছে হাই কোয়ালিটি ইকোনোমি ফর এ বেটার লাইফ। এই সামিটে অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের একটি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
ড. মুসতাক আহমেদ ২০০১ সাল থেকে রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন। উত্তরবঙ্গের ছোট জেলা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার প্রত্যন্ত গ্রাম বিহারপুরে আজিম উদ্দিন আহমেদ ও আকতার হাসনা হেনা আহমেদ এর ঘরে জন্ম নেন। মা স্বপ্নবিলাশী দুখিনী-গৃহিনী আর বাবা ছিলেন আক্কেলপুর (বেসরকারী) এফ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক। সেই বাবার তজ্জনী ধরে স্কুলের পথে হাঁটা আর ১৯৯১ সালে এসএসসি প্রথম বিভাগে এবং ১৯৯৩ সালে এইচএসসি প্রথম বিভাগে পাশ করেন বগুড়া ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে। তারপর মনের অজান্তে গ্রামের এই ছেলেটি ভর্তি হন রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। সেখান থেকেই ১৯৯৬ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৯৮) বিএসএস এবং ১৯৯৭ সালে (অনুষ্ঠিত ২০০০) এমএসএস পাশ করেন প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে।
২০০১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক এম সাইদুর রহমান স্যারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিলেকশন বোর্ড ও ২৮ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেট সভার সুপারিশক্রমে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। মায়ের কপালে ভাঁজ ধার নিয়ে মুসতাক আহমেদ শিক্ষক হওয়ার পর থেকেই রাবির মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সাথে চলা। অতর ২০০৪ সালে প্রভাষক ক্যাটেগরিতে সিন্ডিকেট সদস্য পদে নির্বাচন করেন। ফেল করে ৬ ভোটের ব্যবধানের কারণ তখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় প্রতিক্রিয়াশীলরা গণনিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে শিবির উৎপাদনের কারখানা বানাতে ব্যস্ত ছিল।
শিক্ষক হিসেব ২০০৯-২০১১ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। লেখালেখি ও শিক্ষক রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন তিনি। টিভিতে টকশো করেন মাঝে মাঝে। একাডেমিক বই রচনা করেছেন, সম্পাদনা করেছেন ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চেও ভাষণ: বিশ্বস্মৃতিতে আমরা’ নামে গ্রন্থ। উচ্চতর ডিগ্রী করেছেন মিডিয়াতে প্রতিবন্ধীদের উপস্থাপন বিষয়ে। এর আগে অধ্যাপক মুসতাক ফিলিপাইনে এমিক কনফারেন্সে প্রবন্ধ উপস্থাপন করে প্রশসিংত হন এবং ২০১৮ সালে স্যামা কর্তৃক বেস্ট টিচার অব দ্য ইয়ার-২০১৮ অ্যাওয়ার্ড পান।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।