“বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। কিন্তু দেশীয় ও বিদেশি ষড়যন্ত্রের ফলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দিন দিন বাড়ছে। চট্টগ্রামের আদালত প্রাঙ্গণে গতকালের নজিরবিহীন হামলা আমাদের আইনের শাসনের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ। এজন্য দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
আজ (২৭ নভেম্বর, ২০২৪) জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের আয়োজনে সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শুভ'র সঞ্চালনায় ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থান ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রমাণ হলো প্রকাশ্য দিবালোকে একজন আইনজীবী হত্যার মতো দুঃসাহস। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবে না। সকল নাগরিককে সম্প্রীতি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান অভিযোগ করেন যে, পার্শ্ববর্তী একটি বৃহৎ রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়ানোর অপচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “২৪ এর গণঅভ্যুত্থান আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। সকল সম্প্রদায়ের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই দেশ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জন্য বিদেশি মদদপুষ্ট ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং দেশের অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা হাসেম রাজু, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সভাপতি মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মনোয়ার হোসেন বেগ, তোফায়েল আহমেদ কায়সার, শেখ শাহীন রেজা টিপু, বিপ্লব হোসেন, ওমর ফারুক প্রমুখ।
আলোচকরা দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।