ইমরান খানের মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে সংঘর্ষে নিহত ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৬শে নভেম্বর ২০২৪ ০৪:৪৪ অপরাহ্ন
ইমরান খানের মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে সংঘর্ষে নিহত ৬

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) *পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ* (পিটিআই) দলের ডাকা বিক্ষোভে ব্যাপক সহিংসতা দেখা দিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভকারী হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে আসে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন আধা সামরিক বাহিনীর রেঞ্জার এবং দুইজন পুলিশ সদস্য রয়েছে। এছাড়া, নিহতদের মধ্যে একজন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন, যিনি একটি গাড়ির ধাক্কায় নিহত হন বলে জানা গেছে।


পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিক্ষোভের সময় সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করলে নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেনাবাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে "প্রয়োজনে গুলি চালানোর" নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সংবিধানের ২৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ইসলামাবাদে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ঘোষণা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসন নিরাপত্তা বাহিনীকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে।


বিক্ষোভকারীরা দাবি করছে, ইমরান খানকে মুক্তি দেওয়া হোক এবং বর্তমান সরকার পদত্যাগ করুক। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়। বিক্ষোভের ফলে রাজধানী ইসলামাবাদে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, রাস্তায় সড়ক অবরোধ ও পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে থাকে।


এদিকে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতারা এই সহিংসতার জন্য সরকারের ওপর অভিযোগ এনেছেন এবং বলেছেন, তারা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ইমরান খানের মুক্তির জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন। তবে সরকার তাদের আন্দোলনকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হিসেবে বর্ণনা করে এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে।


অন্যদিকে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সুরক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলির পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সহিংসতা দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং পাকিস্তানের ভবিষ্যত রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো জটিল হতে পারে।