দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকায় আমজনতার শান্তিপূর্ণ জিয়াফত অনুষ্ঠানে পুলিশের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা আড়াইটায় মৌলভীবাজারে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষেভ মিছিল শুরু হয়ে চৌমুহনা চত্বরে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে তারা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’; দিল্লির আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’; ‘প্রথম আলো-ডেইলি স্টার, তৈরি করে স্বৈরাচার’; ‘শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
জেলার তরুণ আলেম মাওলানা এহসানুল হক জাকারিয়ার সভাপতিত্বে হাফিজ মাওলানা সৈয়দ মাজদুদ আহমদ রাফিদ ও আশরাফ উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, তরুণ আলেম মাওলানা এনামুল হক, ডা. সামছুজ্জামান, মাওলানা সাইফুর রহমান ফয়ছল, হাফেজ হাসান আহমদ চৌধুরী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মাহমুদ, হাফিজ মাওলানা সৈয়দ আতহার জাকওয়ান, মাওলানা শাহ মিসবাহ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলী স্টারের ডিক্লারেশন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করার কারণে মানুষ হাসিনার বিরুদ্ধে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তুলে তার পতন ঘটিয়েছে। সেটা অভ্যুত্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও সেই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব লীন করে দিল্লির এজেন্ট হিসেবে কাজ করা প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে কথা বলা আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ গুলিবর্ষণ ও হামলা চালালো কার আদেশে জাতি জানতে চায়।
তারা আরও বলেন, আগস্ট পরবর্তী অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে, এমনকি সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও করে রেখেছে, কিন্তু সেখানে পুলিশ অ্যাকশনে যায়নি। অথচ প্রথম আলোর বিরুদ্ধে কথা বললে পুলিশ আক্রমণ করে। তাহলে কি সরকারের চেয়েও বড় সরকার হয়ে গেছে প্রথম আলো? তারা এই কমান্ড কার কাছ থেকে পেয়েছে জনগণ জানতে চায়।
সমাবেশ শেষে চৌমুহনা চত্বরে তারা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা পুড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।