স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারায় শোকজ ২৫ বিশ্ববিদ্যালয়কে

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌরভ নূর , বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার ২১শে নভেম্বর ২০২১ ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারায় শোকজ ২৫ বিশ্ববিদ্যালয়কে

নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও স্থায়ী ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে পারেনি এমন ২৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ভাড়া বাড়িতে করা অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাদের এ শোকজ দেওয়া হয়।


আইন অনুযায়ী স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ ১২ বছর সময় পেয়ে থাকে। কিন্তু ২৫ বিশ্ববিদ্যালয় এখনো পুরোপুরিভাবে স্থায়ী ক্যাম্পাসে ফিরে যায়নি। ১২ বছরের বেশি বয়সীগুলোর মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি এখন সেগুলোকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউজিসি পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) ওমর ফারুখ।


তিনি জানান, শোকজ দেওয়া ২৫ বিশ্ববিদ্যালয়র কোনোটিকে তিন দিন আবার কোনোটিকে পাঁচ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। শোকজে যেসব প্রতিষ্ঠান স্থায়ী ক্যাম্পাসে গিয়েও আগের ঠিকানায় (অস্থায়ী) ক্যাম্পাস ধরে রেখেছে সেগুলোর বিষয়ও উল্লেখ করা হয়েছে।


দেশে ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে বর্তমানে চালু আছে ৯৯টি। এর মধ্যে ২০১০ সালের আগে ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ওই ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার সময় শেষ হয়ে গেছে।


কিন্তু আদালতের নির্দেশে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলেও বাকি ৫১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬টি স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু করেছে। বাকি ২৫ প্রতিষ্ঠানের কোনোটি আংশিক ক্যাম্পাস নির্মাণ করেছে। কিছু প্রতিষ্ঠান জমি কিনেছে। আবার কেউ কোনো ধরনের পদক্ষেপই নেয়নি। যদিও সরকার থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে কয়েক দফা আলটিমেটাম দিয়েছে। সর্বশেষ দেওয়া আলটিমেটামে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় বেঁধে দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তখন বলা হয়েছিল, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় এ নির্দেশ পালন করতে পারবে না তাদের ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী ২০১৮ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকার কথা ছিল।


এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পরিবর্তন আসে। যদিও এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বিভাগ ও অনুষদ খোলার অনুমোদন বন্ধ এবং সমাবর্তন আয়োজনের অনুমতি স্থগিত থাকার কথা। সেই অবস্থান থেকেও সরে আসা হয়েছে। অবশেষে চার বছরে এই প্রথম ‘শোকজ’র মতো ব্যবস্থা নেওয়া হলো।


সার্বিক বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ একটি সংবাদমাধ্যমে বলেন, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে ফিরে গেলেও তারা আগের ক্যাম্পাসগুলোও ধরে রেখেছে। আবার কেউ কেউ এখনো কোনো উদ্যোগই নেয়নি। শোকজের জবাব এলে বিষয়গুলো নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সবার বিষয়ে এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।