আশাশুনির জলমহল ইজারা বাতিল না করলে ফসল নষ্টের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দ দে সদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২০শে মার্চ ২০২৫ ১০:২৮ অপরাহ্ন
আশাশুনির জলমহল ইজারা বাতিল না করলে ফসল নষ্টের আশঙ্কা

আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আইতলা মৌজার দাড়ার খাল জলমহলটির ইজারা বাতিলের দাবিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর এ বিষয়ে একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়। এছাড়া, ২ মার্চ, ২০২৫ তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রেরণ করা হয়েছে।


এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আবেদন অনুযায়ী, আইতলা মৌজার বিআরএস ১ নং খতিয়ানে ২১.৭১০০ একর জমির জলমহল রয়েছে, যেখানে ডাড়ার খাল, আইতলা বজরা খাল, বরশীষ খাল এবং মহাজনপুর খাল অন্তর্ভুক্ত। এ সকল খালের মধ্যে মহাজনপুর খাল উন্মুক্ত, তবে অন্যান্য খালগুলো প্রতি বছর ইজারা দেওয়া হয়ে থাকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইজারা গ্রহণকারী ব্যক্তিরা জলমহলে আড়াআড়ি মাটির বাঁধ এবং অসংখ্য নেট পাতা দিয়ে আটকে রাখছেন, যার ফলে পানি নিস্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থার কারণে শুস্ক মৌসুমে পানির অভাব এবং বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় এলাকার মৎস্য ঘের ও ফসল চাষের জমি পানিতে ডুবে যায়, যার ফলে ফসল ও ঘেরভেড়ী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।


এছাড়া, এলাকার নিচু বাড়ি ঘর, রাস্তাঘাট ও অন্যান্য স্থাপনা পানির চাপের কারণে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এলাকার মানুষের মতে, ইজারা মুল্যে সরকারি কোষাগারে জমা হওয়া টাকার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে স্থানীয় সম্পদের। তাই, তারা জলমহলটির ইজারা বাতিল করে এবং ভবিষ্যতে ইজারা না দেওয়ার দাবি জানিয়ে আবেদন করেছেন।


এই আবেদনের পর ইউএনও ও এসি (ল্যান্ড) অফিসে বারবার গিয়ে সরেজমিন তদন্তের আশ্বাস পেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এর ফলে, শত শত ভুক্তভোগী মানুষ হতাশায় পড়েছে। এলাকার মৎস্য চাষী, ধান ও অন্যান্য ফসল চাষী কৃষকরা এবং সাধারণ মানুষ জলমহলটি উন্মুক্ত রেখে জনভোগান্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।