‘মার্চ ফর ইউনিটি’ এর ডাকে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হচ্ছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:১১ পূর্বাহ্ন
‘মার্চ ফর ইউনিটি’ এর ডাকে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হচ্ছেন

জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হচ্ছেন।  


মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর থেকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শুরু হয় মঞ্চ তৈরির কাজ। এই গণজমায়েতে অংশ নিতে অনেকেই সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতেই রওনা দেন। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা যেমন পঞ্চগড়, নাটোর এবং সিরাজগঞ্জ থেকে আগত শিক্ষার্থীরা সকাল সাতটার মধ্যেই শহীদ মিনারে অবস্থান নেন। তাদের প্রত্যাশা, ফ্যাসিবাদবিরোধী এই শপথের মাধ্যমে সারাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবে।  


এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত দেড়টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, জুলাই-আগস্টে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র ও জনতার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন তৈরি হয়েছে। হাজারো শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ এই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ অত্যাবশ্যক ছিল।  


বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঐতিহাসিক দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও আমরা এই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করেছি, যা ইতিমধ্যেই দেশের ছাত্র-জনতার মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।”  


এই কর্মসূচি সফল করতে শিক্ষার্থীরা দিনভর বিভিন্ন স্লোগান ও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিকেল তিনটায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি শুরু হবে। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করবেন।  


শিক্ষার্থীদের আশা, এই কর্মসূচির মাধ্যমে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শক্ত ভিত তৈরি হবে। জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের উদ্যোগকে তাঁরা সময়োপযোগী এবং ঐতিহাসিক বলে মনে করছেন।  


সমাবেশে অংশ নেওয়া সিরাজগঞ্জের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের স্বপ্ন নতুন বাংলাদেশ গড়ার। এই কর্মসূচি সেই স্বপ্নকে এক ধাপ এগিয়ে নেবে।”  


জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে সবাই প্রত্যাশা করছে।