পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এটি পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ২০১২ সালের পর প্রথম বাংলাদেশ সফর। এই সফরকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কায়রোতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
ইসহাক দার সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, বাংলাদেশ সফরে পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং অন্যান্য কূটনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইসলামাবাদ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা তিনি গ্রহণ করেছেন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের পর শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়তে থাকে।
২০১২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার শেষবার বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। সেই সফর মূলত ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের আমন্ত্রণ জানানো উপলক্ষে ছিল। শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার কারণে পাকিস্তানের একাধিক কূটনৈতিক উদ্যোগে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ।
ইসহাক দারের আসন্ন সফর দুই দেশের মধ্যে নতুন যুগের সূচনা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশা করছেন, এই সফরের মাধ্যমে বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রের দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা কেটে যাবে এবং দক্ষিণ এশিয়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।