বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার এজাহারে থাকা ১৯ আসামির মধ্যে ১৭ নম্বর আসামি এএসএম নাজমুস সাদাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ অক্টোবর) দিনগত রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কড়ই উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাফিজুর রহমানের ছেলে সাদাত। তিনি বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী। বাবা হাফিজুর রহমান রাজশাহী হাজী মোহাম্মদ মোহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মা সাদিয়া বেগম একজন গৃহিনী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সাদাত সবার বড়। চাকরি সূত্রে ২০০০ সাল থেকে রাজশাহী মহানগরের হেলেনাবাদ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন তারা।
জানা গেছে, ছোট বেলা থেকেই প্রচণ্ড মেধাবী সাদাত ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে বৃত্তিসহ ২০১৫ সালে রাজশাহী গর্ভমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল থেকে গোল্ডেন প্লাসসহ রাজশাহী বোর্ডে ৩য় স্থান অর্জন করে। সবশেষ ২০১৭ সালে রাজশাহী কলেজে থেকে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএসহ রাজশাহী বোর্ডে ৪র্থ স্থান অর্জন করে পরিবারসহ স্থানীয়দের অবাক করে দেয়। এরপর ঢাবি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট এ ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ পেলেও শেষ পর্যন্ত বুয়েটকেই বেছে নেন তিনি। সাদাতের চাচা ওবাইদুর রহমান জানান, ভাতিজাকে গ্রেফতারের খবরটি আমরা শুনেছি। যদি সে অপরাধী হয়ে থাকে, তাহলে আইন তার সুষ্ঠু বিচার করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের বিশ্বাস সে পরিস্থিতির শিকার, সে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে নির্দোষ হিসেবে ফিরে আসবে।
সাদাতের বিষয়ে কড়ই উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মাবুদ, মোফাজ্জল হোসেন, মমতাজ উদ্দীন, ফাতেমা ও সামছুন্নাহার বেগম জানান, ছোট বেলা থেকেই প্রচন্ড মেধার অধিকারী নাজমুস সাদাত। সহজ-সরল প্রকৃতির এই ছেলেটা ছুটিতে বাড়িতে এসে গ্রামের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের সাথে এখনো শিশুদের মতো পুকুরে সাঁতার কাটে। সেই ছেলে কিভাবে তার সহকর্মীকে হত্যা করতে পারে- এটা আমরা মেনে নিতেই পারছি না।
এ ব্যাপারে সাদাতের বাবা হাফিজুর রহমান বলেন, সাদাত র্যাগিংয়ের শিকার। সম্ভবত তাকে ওই রাতে আবরারকে ডেকে আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে আমি নিশ্চিত আমার সন্তান কখনোই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে না। তবে দোষ প্রমাণিত হলে কিছুই বলার নেই।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।