যুবলীগ নেতা ক্যাসিনো খালেদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সময় তার কাছে আরও একটি বৈধ অস্ত্র ছিল। তবে ওই অস্ত্রের লাইসেন্স এর শর্ত ভঙ্গ ছিল। এছাড়া টেন্ডার মোঘল ও যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের কাছ থেকে ৮টি বৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। রাজধানীসহ সারাদেশে যুবলীগ নেতাদের অধিকাংশই ঠিকাদারির সঙ্গে জড়িত। নিজেদের নিরাপত্তায় তারা লাইসেন্স নিয়ে অস্ত্র সঙ্গে রাখছেন। কিন্ত্র তাদের এসব অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ কাজে। অনেকেই রয়েছেন ব্যবসার আড়ালে অস্ত্রেও হুমকি দিয়েই আয় করছেন মোটা অংকের টাকা। এমন অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে উঠছে তাদের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার হঠাৎ করে টেন্ডারবাজ ও জুয়াড়ীদের বিষয়ে তৎপর হয়েছে। এসব টেন্ডারবাজ ও জুয়াড়ীরা বৈধ ও অবৈধ অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করেন। তাদের ভক্তদের কাছেও থাকে অস্ত্র। সরকারি দপ্তরে টেন্ডার আহবান করলে কাজ বাগিয়ে নিতে অস্ত্রের মহড়া চলে। নিজেদের মধ্যেই এরা জড়িয়ে পড়ে কোন্দলে। কখনো নিজেকে বড় নেতা আবার কখনো বড় ব্যবসায়ী হিসেবে জাহির করতে অস্ত্র উচিয়ে চলেন অনেক নেতা। আওয়ামী লীগের একাধিক সমাবেশে অস্ত্রসহ ধরা পড়েন বেশকজন যুবলীগ নেতা। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়েও অবৈধ অস্ত্রসহ ধরা পড়ার খবর রয়েছে। এসব কারণে যুবলীগের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতার বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে গোয়েন্দারা। তারা বলছেন, এসব নেতাদের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করার সুপারিশ করা হবে।
জানা গেছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ নেতা ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা কাজল, গুলাশানে যুবলীগ নেতা শান্ত, মহাখালী-বনানী এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দেন উত্তর যুবলীগের সহসভাপতি আক্তার, বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাসুদ, তার সহযোগি নুরু, যুবলীগ নেতা মফু জুয়েল, নাসির উদ্দিন ও মিলন। মতিঝিল, আরামবাগ, রমনা, পল্টন ও পুরান ঢাকায় ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নজরদারিতে রয়েছেন যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমান, সহসভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, সহসভাপতি সরোয়ার হোসেন মনা, জসীম উদ্দিন, মনির, খায়রুল ও রানা।
উত্তরার শ্রমিক লীগ নেতা কাজী জাকারিয়া, যুবলীগ উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ আরো কয়েকজনের ব্যাপারে তথ্য নেয়া হচ্ছে। এছাড়া নজরদারিতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান। যুবলীগের কার্যালয়ে পিয়ন থেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সম্পাদক হয়েছেন তিনি। মতিঝিলের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোমিনুল হক সাঈদ, যুবলীগ নেতার জাকির হোসেনের ব্যাপারেও খোঁজ নিচ্ছে গোয়েন্দারা। এদের বেশিরভাগ নেতারাই বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।