পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের হাজির হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে এক বিএনপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সাবেক বিএনপি নেতা আলমাস তালুকদার (৪৫) এ ঘটনায় আহত হয়ে বর্তমানে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী আলমাস তালুকদার বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, যেখানে তিনি ১৫/২০ জনের নাম উল্লেখ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে হাজির হাট ইজারার জন্য দরপত্র খোলা হয়। দুইটি দরপত্র জমা পড়েছিল, একটিতে ৩৫ লক্ষ টাকা মূল্যে দরপত্র জমা দেন আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন পঞ্চায়েত, আরেকটিতে ৩৭ লক্ষ টাকা মূল্যে জমা দেন সাবেক বিএনপি নেতা আলমাস তালুকদার। পরে, ইজারাদার হিসেবে নাম ঘোষণার জন্য আলমাস তালুকদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের সামনে রাস্তার উপর অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় জসিম উদ্দিন পঞ্চায়েতসহ ২০/২৫ জনের একটি দল আলমাস তালুকদারকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। ঘটনাস্থলে এসে আলমাসের লোকজন জড়ো হতে থাকলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। আহত আলমাস তালুকদারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আলমাস তালুকদার অভিযোগ করেছেন, আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন পঞ্চায়েত ও তার পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায়, তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে হামলার শিকার হয়। তিনি জানান, তার একমাত্র অপরাধ ছিল হাট ইজারার দরপত্র কেনা।
অন্যদিকে, জসিম উদ্দিন পঞ্চায়েত অভিযোগটি মিথ্যা দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ওইদিন আলমাস তালুকদারের সাথে ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ সিকদারের কথাকাটাকাটি হয়েছিল, তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ফিরোজ সিকদারও স্বীকার করেছেন, আলমাস তালুকদারের সাথে হাতাহাতি হয়েছিল, তবে তাকে মারধর করা হয়নি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, তারা অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।