বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁও শহরে বিক্ষোভ ও সহিংসতা ঘটেছে। পুলিশ জানায়, গত ২৬ নভেম্বর শহরের জিলা স্কুল মাঠে চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালায়। এ ঘটনায় সদর থানা পুলিশ সন্ত্রাস দমন আইনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোশারুল ইসলাম সরকারসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছে।
পুলিশের এজাহারে বলা হয়েছে, চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশের পর, একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী বা মহলের মদদে বিক্ষোভকারীরা সরকারি অফিস, আদালত এবং যানবাহনে হামলা চালায়। সংঘর্ষে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সংবাদকর্মীরা আহত হন এবং বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করা হয়। বিক্ষোভকারীরা ইট-পাটকেল, বাঁশ, কাঠের লাঠি, লোহার রড, হাসুয়া এবং অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে ঠাকুরগাঁও বড় মাঠে অবস্থান নেয় এবং সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালায়। পুলিশের লাঠিচার্জে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হলেও সংঘর্ষের ফলে কয়েকটি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই সহিংসতার ঘটনায় ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বিশেষ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা নিজেদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী বলে দাবি করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অপরাধ সংঘটন করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান জানান, মামলায় আরও আসামি গ্রেফতারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।
চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে এই বিক্ষোভ এবং সহিংসতা নতুন করে ঠাকুরগাঁওয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি করেছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে এই ঘটনায় অস্থিরতা বাড়লেও, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।