বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অন্তত আটটি হত্যা মামলা রয়েছে, যা পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য একটি বিতর্কিত ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিবিতে দীর্ঘকাল কর্মরত থাকা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।
ডিএমপি ডিবির যুগ্ম কমিশনার রবিউল হোসেন ভুঁইয়া যুগান্তরকে জানান, "মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে আটটি হত্যা মামলা হয়েছে। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে, তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।" এই বক্তব্যের মাধ্যমে মশিউরের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
মশিউর রহমান গত কয়েক বছরে পুলিশ বাহিনীতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি লালবাগ জোনের উপকমিশনার (ডিসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০২২ সালের এপ্রিলে শ্রেষ্ঠ উপ-পুলিশ কমিশনারের (ডিসি) পুরস্কারও অর্জন করেন তিনি।
২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) ও ২০১৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং ২০১৯ সালে একই পদক অর্জনের পাশাপাশি কর্মদক্ষতার জন্য তিনি চারবার ‘আইজিপি এক্সাম্প্লারী গুড সার্ভিসেস ব্যাচ’ও পান। ২০২২-২৩ সালের জন্য তিনি শুদ্ধাচার পুরস্কার অর্জন করেন, যা তার কাজের প্রতি অনুরাগের প্রমাণ দেয়।
এপ্রিল মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ১৩ আগস্ট মশিউর রহমানসহ ২৮ জন কর্মকর্তাকে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ সামনে আসার পর এই বদলি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
মশিউর রহমানের গ্রেফতারি এবং মামলার বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি, যা আগামী দিনগুলোতে পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদন্ত এবং জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে এই ঘটনার প্রভাব নিয়ে চর্চা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।