ভোলার তজুমদ্দিনে গোয়াল ঘরে পানি দেয়ার অপরাধে এক প্রতিবন্ধী শিশুকে প্রথমে বাথরুমে, পরে শিকল দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় প্রতিবন্ধী শিশুর মা বাদী হয়ে দুইজনকে অভিযুক্ত করে তজুমদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলা শম্ভুপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাদলীপুর গ্রামের ভূলু মোল্লার প্রতিবন্ধী শিশু আব্দুল হামিদ (৫) বৃহস্পতিবার দুপুর ২ ঘটিকার সময় শিবপুর ১নং ওয়ার্ডে মঞ্জুর বাড়ি গিয়ে তার গোয়াল ঘরে মধ্যে পানি দেয়। এ ঘটনায় মঞ্জু ও তার স্ত্রী আছমা বেগম মিলে মারপিট করে তাদের বাথরুমে প্রতিবন্ধী শিশুটিকে আটকিয়ে রাখেন। পরে আমরা ছেলেকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ডাকচিৎকার দিলে আমাদের শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলে হামিদ তাদরে বাথ রুমের মধ্যে চিৎকার মেরে উঠলে তার মা সাজেলা বিবি তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
পরে অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রী প্রতিবন্ধী হামিদকে বাথরুম থেকে বের করে পায়ে সিকল লাগিয়ে বাগানে একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখে। বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রতিবন্ধী হামিদের বড় ভাই আবু রায়হান তার ভাইকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। অভিযোগে আরো জানা যায়, শিকল দিয়ে বেঁধে এলোপাতাড়ি মারপিট করায় প্রতিবন্ধী হামিদ মানসিকভাবে আরো ভেঙে পড়েছে।
এঘটনায় নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী আব্দুল হামিদের মা সাজেদা বিবি (৪৫) বাদী হয়ে মোঃ মঞ্জু (৪০) ও তার স্ত্রী আছমা বেগমকে (৩৫) অভিযুক্ত করে তজুমদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।