মাদারীপুরের ডাসারে নাবালিকা ৬ষ্ঠ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর পিতা বাদি হয়ে ডাসার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রামে পিতা-মাতা বসতবাড়িতে না থাকার সুযোগে শশিকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর ২য় বর্ষের ছাত্র শাওন বাড়ৈ (১৮), ৬ষ্ঠ শ্রেণীর নাবালিকা ছাত্রীকে তার নিজ বসতঘরে চুপিসারে ঢুকে ওই ছাত্রীকে পিছন থেকে ঝাপটে ধরে জোর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে শ্লীলতাহানি করেন।
ছাত্রী নিজেকে বাচাতে আত্মচিৎকার দিলে কলেজ ছাত্র শাওন বাড়ৈ ওই নাবালিকা ছাত্রীর বাম হাতের আঙুলে থাকা ৪ আনা স্বর্নের আংটি জোর করে খুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা বাদি হয়ে ডাসার থানায় একটি মামলা দায়ের করলে, পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শাওন বাড়ৈকে আটক করেন এবং আজ শনিবার সকালে মাদারীপুর জেল হাজতে প্রেরন করেন। আসামী শাওন কোটালীপাড়ার কলাবাড়ি গ্রামের কৃষ্ণ বাড়ৈর ছেলে। শাওন বাড়ৈ শশিকর কলেজের আবাসিক হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেন।
ভুক্তভোগীর পিতা বলেন, গতকাল শুক্রবার বিকেলে আমি এবং আমার স্ত্রী শশিকর বাজারে গেলে ওই শাওন বাড়ৈ আমার গিয়ে, আমার মেয়েকে একা পেয়ে তাকে শ্লীলতাহানি করেন। পরে বিষয়টি আমি কলেজের অধ্যক্ষ দূর্লভ আনন্দ বাড়ৈকে জানাই এবং ন্যায় বিচারের জন্য ডাসার থানায় মামলা দায়ের করি। আমি ওর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। আসামি শাওন বাড়ৈকে আটক করে আজ সকালে মাদারীপুর জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।