নওগাঁর বদলগাছীতে ব্রিজের নিচ থেকে মাদ্রাসা ছাত্র ও রিকশাচালক সাকিব হোসেনের (১৫) মরদেহ উদ্ধারের দুইদিন পর চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্যেই সাকিবকে হত্যা করা হয় বলে বুধবার দুপুরে বদলগাছী থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে বদলগাছী ও মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল জানিয়েছেন।
গত, ১৯ জুন রিকশা চালাতে গিয়ে রিকশাসহ নিখোঁজ হন ফতেপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে সাকিব। নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর ২৬ জুন সকালে বদলগাছী উপজেলার বর্ষাইল-মাতাজি সড়কের ভবন নামক স্থানে ব্রিজের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর পুলিশের একাধিক টিম তদন্তে নামে।
বুধবার ভোর রাতে হত্যাকারীদের মধ্যে আসমত আলী, এমরান হোসেন এবং জুয়েল রানাকে মহাদেবপুর এবং মনির হোসেনকে বদলগাছী উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে অটোরিকশার চারটি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাকিবের ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর ওই ব্রিজের নীচে কচুরিপানা দিয়ে সাকিবের মরদেহ ঢেকে রাখা হয়। মরদেহটি পচে ফুলে ওঠায় স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে সংবাদ দেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মহাদেবপুর উপজেলার লহির উদ্দিনের ছেলে আসমত আলী, মৃত সাইদুল ইসলামের ছেলে এমরান হোসেন, মৃত সফিজ উদ্দিনের ছেলে জুয়েল রানা ও আব্দুল জব্বারের ছেলে মনির হোসেন।
পড়াশোনা পাশাপাশি পরিবারের খরচ মেটাতে ভাড়ায় রিকশা চালাতেন ফতেপুর মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র সাকিব। গত ১৯ জুন ভাড়ার উদ্দেশ্যে রিকসা চালাতে গিয়ে রিকশাসহ নিখোঁজ হন তিনি। তার গ্রামের পাশেই একটি বাজার এলাকায় ব্যাটারিবিহীন অবস্থায় রিকশাটি পাওয়া গেলেও সপ্তাহখানেক ধরে নিখোঁজ থাকার পর সোমবার তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।