ঠাকুরগাঁওয়ে বাপ-ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ ইলিয়াস আলী - জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: শুক্রবার ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে বাপ-ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মনের নির্দেশে বাবা ও দুই ছেলেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। 


আহতরা হলেন, বুলুরাম কুমার বর্মন (৪২) তার দুই ছেলে অর্জুন কুমার বর্মন (২৫), নতুন কুমার বর্মন (২১)। 


বৃহস্পতিবার দুপুরে (৯ ফেব্রুয়ারি) ওই ইউনিয়নের নিমবাড়ি এলাকার কানিয়া মন্দিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা ওই এলাকার বাসিন্দা।


ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ২০১৫ সালে চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মনের কিছু জমি ক্রয় করেন তার ধর্মের জামাই প্রসন্ন কুমার বর্মনের মাধ্যমে বুলুরাম বর্মন। পরবর্তিতে রেজিস্ট্রি দেয়ার তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে তিনি। 


বৃহস্পতিবার বসতভিটার কাজ করতে গেলে বাধা দেয় প্রতিবেশী প্রসন্ন কুমার বর্মন। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তার বাড়িতে এসে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি মারপিট ও কুপিয়ে জখম করে বুলুরামকে। এসময় তার দুই ছেলের অর্জুন বর্মন ও নতুন বর্মন বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাদের কেউ মারপিট করে প্রসন্ন কুমার বর্মনসহ তার লোকজন। এক পর্যায়ে বুলুরাম পরিবারের সদস্যরা গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরলে স্থানীয়রা তাদের ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। 


ভর্তি হওয়া আহত রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ বসতভিটাসহ বেশকিছু জমি চেয়ারম্যানের কাছে তারা ক্রয় করেন। জমি রেজিস্ট্রি দেয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেয় চেয়ারম্যান ও তার জামাই প্রসন্ন। বৃহস্প্রতিবার বসতভিটার কাজ করতে গেলে চেয়ারম্যান সুব্রত বর্মনের হুকুমে প্রসন্ন কুমারের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ তাদের।


এরপর বিকেল সাড়ে ৫ টায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয় প্রসন্ন কুমারসহ তিনজন। তারাও পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের জমিতে জোরপূর্বক দখল করে বুলুরামের পরিবারের লোকজন ঘর তুলেন। পরে আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়।


অন্যদিকে, রাত ৮টার পর ভর্তি হওয়া জামাতা প্রসন্ন কুমারও তার লোকদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি দেখে গুরুতর আহত বুলুরাম বর্মনের পরিবারকে দেখতে পাশের ওয়ার্ডে যান তিনি। সেখানে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যানকে টাকা দিয়েছে বলে সাফ জানালেন বুলুরামের পরিবারের সদস্যরা।


তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে চেয়ারম্যান বলেন, মারধরের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। বুলুরামের পরিবার অসহায় বলে তাদের ওই জমিতে মাথা গুজার ঠাই দিয়েছিলাম। 


আর এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।