ইউএনও পরিচয় দিয়ে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করতে থাকে খাবার হোটেলে। হোটেলে ঢুকে মিষ্টি খায়। মিষ্টি নষ্টও করে। তার আচরণ দেখে সন্দেহ হয় হোটেল মালিকের। এ সময় বাজারের অনান্য দোকানিদের ডেকে তাকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধরা পড়ে যায়। শুরু হয় গণধোলাই। তাকে আটকে রেখে খবর দেয় পুলিশের।শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে ঘটনাটি ঘটে। আটক রিন্টু মল্লিক (৪২) চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়ার নুরুল হোসেনের ছেলে।
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চুয়াডাঙ্গা সদর ইউএনও শামীম ভুঁইয়া। পরে দুপুর ২টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রিন্টু মল্লিক নামে প্রতারক এই নকল ইউএনওকে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকাল থেকে নিজেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিচয় দিয়ে ডিঙ্গেদহ বাজার এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিমানা আদায় করতে থাকেন রিন্টু মল্লিক। এ সময় একটি খাবারের দোকানে ২০০ টাকা জরিমানা করে তিনি। পরে আরেকটি দোকানে গিয়ে মিষ্টি জব্দ করে তা বিনষ্ট করেন। এমন সময় বিষয়টি সন্দেহ হলে তাকে জেরা করে স্থানীয়রা। তার কথার অসঙ্গতি দেখে গণধোলাই দেয় জনগণ। পরে তাকে আটকে রেখে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, রিন্টু মল্লিক একজন প্রতারক। সে থানার ওসি সেজেও মানুষের কাছে বিভিন্ন সময়ে টাকা নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি প্রতারণার মামলা রয়েছে থানায়।
সদর ইউএনও শামীম ভুঁইয়া বলেন’ 'উপজেলা প্রশাসন সতর্ক আছে জনগণকে যেকোনো প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করতে। প্রশাসনকে খবর দেয়া মাত্রই আমরা ব্যবস্থা নেব। কোনো ধরনের প্রতারকের স্থান সদর উপজেলায় হবে না। এ বিষয়ে প্রশাসন এবং পুলিশ একত্রে কাজ করছে।'
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।