
দোনলা বন্ধুকসহ ছিনতাইকারী আটক

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১:৩৩

যাত্রীবেশে ছিনতাই চক্রের তিন সদস্যকে চট্টগ্রাম শহর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম। গতকাল রবিবার রাত সোয়া ২টায় নগরীর পাহাড়তলী থানার উত্তর কাট্টলী জেলেপাড়া ব্রিজের কাছ থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি দোনলা বন্দুক, দুটি এলজি এবং চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ এই তথ্য জানিয়েছেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মাইক্রোবাসে তুলে জিম্মি করে ছিনতাই করতো এই চক্রটি। এর আগে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিল। সবমিলিয়ে সেই চক্রের মোট ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে র্যাব-ডিবি। এখনো চক্রের আরো একজন সদস্য পলাতক আছে।
সোমবার গ্রেপ্তার তিনজন হলো সরোয়ার হোসেন মনু (৩৪), মো. রিপন (৩২) এবং তাসলিমা বেগম (৩৬)। র্যাবের দাবি, মনু এই চক্রের মূলহোতা।

র্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, এই চক্রের ছিনতাইয়ের ধরণ হচ্ছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে মাইক্রোবাস। ভেতরে বসা থাকে আরো কয়েকজন। গন্তব্যে পৌঁছাতে সাধারণ কেউ আরোহী হলেই বিপত্তি ঘটে। মহাসড়কে নির্জনে পৌঁছার পর ভেতরে বসা যাত্রীদের স্বরূপ বেরিয়ে পড়ে। পেশাদার ছিনতাইকারীরা ওই যাত্রীকে জিম্মি করে কেড়ে নেয় টাকা-মোবাইল, ব্যাংকের কার্ড। বিকাশ নম্বর থাকলে ট্রান্সফার করে নেয় টাকা। শুধু সম্পদ নয়, অনেকসময় কেড়ে নেয় প্রাণও।
র্যাব কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদে মনু ঢাকা-মাওয়া সড়কেও একই কায়দায় ছিনতাইয়ের কথা জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা-পর্নোগ্রাফিসহ বিভিন্ন অভিযোগে কমপক্ষে ১০টি মামলা আছে।

এর আগে, গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম ও বন্দর শাখা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এরা হলো শাহ আলম আকন (৩২), আবুল কালাম (৪৭), জাকির হোসেন সাঈদ (৩৬), মো. আল আমিন (২৯), মিজানুর রহমান (৫৩) এবং নাহিদুল ইসলাম ওরফে হারুন (৩১)।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া তাসলিমা বেগম ডিবির হাতে গ্রেপ্তার মিজানুর রহমানের স্ত্রী। চক্রের ১০ সদস্যের মধ্যে এখন তাসলিমার ভাই শামছুল শুধু পলাতক আছে বলে জানিয়েছেন ছয় জনকে গ্রেপ্তারে নেতৃত্ব দেওয়া নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ডিবি-পশ্চিম) নোবেল চাকমা।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা নোবেল চাকমা বলেন, ‘আমরা শাহ আলম, কালাম, জাকির ও আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে রিপন ও মনুর সম্পৃক্ততার কথা জানিয়েছিল। এ ছাড়া তাদের চক্রের আরেক সদস্য শামছুর কথা বলেছিল। শামছু এখনও পলাতক।

সর্বশেষ সংবাদ
