আদালতের ১৪৪ ধারা অমান্য করে জমি দখল ও জমির উপর থাকা গাছপালা রাতের আধারে কেটে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। আইন ভঙ্গের এ বিষয় নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের ১২ মাইল লালন ফিলিং স্টেশনের সামনে।
পেতাহাটী গ্রামের এটিএম শফিকুজ্জামানের স্ত্রী মোছাঃ নাছিমা বেগম ঝিনাইদহ সদর থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন তার কেনা ৬৩২৪ দাগের ৯ শতক জমি পেতাহাটী গ্রামের বিল্লাল হোসেনের কাছ থেকে ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারী ৪১৭ নং দলিলে খরিদ করেন। নাসিমা বেগমের কেনা জমি অন্যায় ভাবে দখল নেওয়ার চেষ্টা করলে ঝিনাইদহের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারা জারির জন্য ৫২৭/২০২১ নং মামলাটি করেন। তহশীলদারের রিপোর্ট মোতাবেক গত ৩০ সেপ্টম্বর আসামীদের উক্ত জমিতে প্রবেশ নিষেধের আদেশ দেন।
আদালতের নির্দেশনা পেয়ে গত মঙ্গলবার সকালে শিক্ষক নাছিমা বেগম সীমানা প্রচীর তৈরী করতে গেলে পোতাহাটী গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মোঃ আনারুল ইসলাম মেম্বর, খোরশেদ আলীর ছেলে মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ বদর উদ্দীন, জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোঃ মোহন আলী ও বদর উদ্দীনের ছেলে কাজল বিজ্ঞ আদালতের আদেশ জানা স্বত্ত্বেও বে-আইনী ভাতে লাঠিসোটা নিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ সময় আসামী মোহন আলী ও কাজল লাঠি দিয়া এলোপাতাড়ী ভাবে আঘাত করে এবং নাছিমা বেগমের গলায় থাকা সোনার চেইন ছিড়িয়া নেয়। অভিযোগে উল্লখ করা হয় স্থানীয় ডাকবাংলা ক্যাম্পের পুলিশ ও চেয়ারম্যান সুষ্ঠ বিচার করার আশ্বাস দিলে নাছিমা বেগম রাজমিস্ত্রি নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এরপরও দুর্বৃত্তরা থেমে থাকেনি।
মঙ্গলবার রাতে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকা জমি থেকে ৭টি আম গাছ ও ২টি আমড়া গাছ আসামী মোহন ও কাজল জোর পুর্বক কেটে নিয়ে যায়। রাতে নাইটগার্ডরা বাধা দিতে গেলে তাদেরও হত্যার হুমকী দেওয়া হয়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক জানান, শিক্ষক নাছিমা বেগমের একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ডাকবাংলা পুলিশ ফাড়িকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।