চট্টগ্রামে মামলার রায় ঘোষণার পর আদালত কক্ষ থেকে দণ্ডিত আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের আদালত থেকেই পালিয়ে যান দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবুল হাসেম। চেক প্রতারণা মামলায় হাসেমকে বিনাশ্রমে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ২২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীন। রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত থাকলেও কিছুক্ষণ পরই আদালত কক্ষ থেকে সরে পড়েন আবুল হাসেম। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে চট্টগ্রামে।
এদিকে, আদালত কক্ষ থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ। কেননা রায় ঘোষণার সময় কোনো পুলিশ সদস্যই ছিল না সংশ্লিষ্ট আদালতে। এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। কেননা কোনো আসামির সাজা হলে তাকে হেফাজতে নেয়ার দায়িত্ব পুলিশের।
কিন্তু আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুদ্দিন পারভেজ জানান, সে সময় কোনো পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন না আদালতে। আর এ সুযোগে আসামি পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
এ ঘটনায় বিস্মিত আইনজীবীরাও। চট্টগ্রাম জেলা আদালতের পিপি এ কে এম সিরাজুল ইসলাম জানান, আসামি রক্ষা করা কোর্টের দায়িত্ব না, এটা পুলিশের দায়িত্ব। পুলিশের দায়িত্ব অবহেলার কারণে সার্বিকভাবে আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। অবাক বিষয় হচ্ছে, এত বড় ঘটনায় তোলপাড় চললেও বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন জেলা কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর।
২০১৯ সালে ইটভাটায় শ্রমিক নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তির বিনিময়ে এক ব্যক্তিকে ২২ লাখ টাকার চেক দেন আবুল হাশেম। পরে চেকটি ডিজঅনার হলে মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। তবে পালিয়ে যাবার পর থেকে এখনও খোঁজ মেলেনি পলাতক আবুল হাসেমের।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।