মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় এক প্রভাষককে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। প্রভাসকের নাম মো. শাহিনুর রহমান (৩২)। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। নিহত মো. শাহিনুর রহমান ধামরাই উপজেলার বেগম আনোয়ারা গার্লস কলেজের শিক্ষক ছিলেন। তিনি সাটুরিয়া উপজেলার মালসী গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মালশী গ্রামে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবককে পরকীয়ায় বাধা দেন শিক্ষক শাহিনুর ইসলাম। এরই জের ধরে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ওই শিক্ষক দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন (২৮) রাস্তায় তার গতিরোধ করেন। তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে কলেজ শিক্ষক শাহিনুরের পেটে ও বুকে বেশ কয়েকটি আঘাত করেন। শেষে তার গলায় ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন।
আহত শাহিনুর ওই রাস্তার পাশে পানির ডোবায় পড়ে গিয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। প্রতিবেশীরা মুমূর্ষু শাহিনুরকে সাটুরিয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান ডাক্তাররা।
এ ঘটনায় ওই রাতেই উত্তেজিত শতাধিক গ্রামবাসী সাদ্দামের বাড়ি ঘেরাও করে রাখেন। থানা পুলিশ অভিযুক্ত সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল আদালতে পাঠালে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাদ্দাম হোসেন মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে আটক আছেন।
গ্রামবাসী জানান, অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন স্থানীয় এক গৃহবধূর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরকীয়ার জের ধরে অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল। এ কাজে বাধা দেওয়ায় কলেজ শিক্ষক শাহিনুরের ওপর ইতোপূর্বেও একবার হামলা করেছিল সাদ্দাম।
সাটুরিয়া থানার ওসি মো. আশরাফুল আলম জানান, ছুরিকাঘাতে কলেজ শিক্ষককে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত সাদ্দামকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিক্ষকের মৃত্যুতে আদালতে ফের প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।