বহুমাত্রিক ‍"বাটপার" ইদ্রিস আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
এরফান হোছাইন. জেলা প্রতিনিধি (কক্সবাজার)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:২৭ অপরাহ্ন
বহুমাত্রিক ‍"বাটপার" ইদ্রিস আটক

আলোচিত প্রতারক বহুমাত্রিক বাটপার যশোরের সেই ইদ্রিস আলমকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি কখনো সাংবাদিক, কখনো আইনজীবী, কখনো শ্রমিক নেতা আবার কখনো আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে নানা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকেন। |বৃহস্পতিবার বিকেলে আইজীবী সমিতির সহযোগিতায় তাকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তৃতীয় তলা থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। ইদ্রিস আলম যশোর সদর উপজেলার পূর্ব পান্তাপাড়া গ্রামের মৃত শামসুর রহমানের ছেলে।


আটক ইদ্রিস আলমের কাছ থেকে বিভিন্ন অখ্যাত পত্রিকার ৫টি পরিচয়পত্র, দুইটি পেনড্রাইভ, চারটি মোবাইল ও শ্রমিক ইউনিয়নের দুইটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে।


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি ও ‘টাউট উচ্ছেদ কমিটি’র আহ্বায়ক খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন মুকুল। তিনি জানান, অভিযানের সময় ইদ্রিসের ঘনিষ্ট সহকারী টিটো ও তার কম্পিউটার অপারেটর নাইম পালিয়ে গেছেন।


তিনি আরও জানান, ইদ্রিস একসময় আইনজীবী সহকারী ছিলেন। পরে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু তারা বিরুদ্ধে সমিতিতে নানা প্রতারণা অভিযোগ আসে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রমাণও পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়। একইসাথে আদালত চত্বরে না আসার জন্যও বলা হয়।


কিন্ত তিনি সমিতির সিদ্বান্ত অমান্য করে প্রতিনিয়ত আদালতে গিয়ে বিচারপ্রার্থীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। বিষয়টি ফের সমিতির নজরে আসে। সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশেষ অভিযানে তাকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন মুকুল।


এ বিষয়ে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী ফরিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহানুর আলম শাহীন বলেন, আদালত চত্বরে ইদ্রিস বিভিন্ন ধরণের অপকর্মে জড়িত। অনিয়ম দুর্নীতির বিপক্ষে সমিতি কঠোর অবস্থানে আছে। কোনো ধরণের অনিয়মের ছাড় দেবেন না তারা।


এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ আদালতে গিয়ে ইদ্রিস আলমকে হেফাজতে নিয়েছে। ইদ্রিস আলমের সার্বিক বিষয় নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে।


উল্লেখ্য, ইদ্রিস আলমের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতিতে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন থানা ও জেলা প্রশাসকের কাছেও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়াও মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর নামে চার লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। এক পর্যায় আদালত চত্বরে তার প্রবেশাধীকার নিষিদ্ধ করে জেলা আইনজীবী সমিতি।