পাবনা শহরের সাত্তার বিশ্বাস সুপার মার্কেট আবাসিক ভবনে রিবার্থ ইউনানি ড্রাগ ল্যাবরেটরিজ নামে একটি যৌন উত্তেজক ওষুধ কারখানার সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। রবিবার বিকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ওই আবাসিক ভবনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নামে বেনামে অবৈধ যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, তৈরিকৃত মালামালসহ মালিক শরীফুল ইসলামকে আটক করে।
আটক শরীফুল ইসলাম পাবনা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের পারনলমুড়া গ্রামের মৃত আক্কাস আলী বিশ্বাসের ছেলে এবং শহরের আতাইকুল রোড সংলগ্ন দিশারী লাইব্রেরীর মো. আব্দুল মজিদের ছোট ভাই। দিশারী লাইব্রেরীর পাশেই তার শোভা হেলথ রেমিডি নামে একটি হারবাল ও ইউনানী ওষুধ বিক্রয় এবং চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র রয়েছে।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা নির্বাহী ম্যাজিট্রেট সাইফুল ইসলাম, জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস ছালাম, জেলা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুকর্ন আহম্মেদ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানসহ ডিবি পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা।
এ সময় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা অভিযুক্ত কোম্পানির সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক একাধিক যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরি করার দায়ে মালিক শরীফুল ইসলামকে এক মাসের কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এ সময় ওই আবাসিক ভবন থেকে জব্দ সব মালামাল জব্দ করা হয়।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, শরীফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে শহরের সাত্তার বিশ্বাসের আবাসিক ভবনে ভাড়া করা বাসায় গোপনে অবৈধভাবে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক একাধিক যৌন উত্তেজক ওষুধ ও মেয়েদের রং ফর্শা করা ক্রীম তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে আসছিলেন। এর পূর্বেও একই অপরাধে তাকে গ্রেফতার ও জরিমানা করা হলেও সাজা শেষে আবারও তিনি অবৈধভাবে যৌন উত্তেজক ওষুধ ও মেয়েদের রং ফর্শা করা ক্রীম তৈরি করে আসছিলেন।
জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস ছালাম বলেন, শরীফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ওই আবাসিক ভবনের একটি কক্ষে অবৈধ যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরি করে জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে আসছিল।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।