প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০:৩৭
অবশেষে নওগাঁর মহাদেবপুরের বহুল আলোচিত মিঠুন-শ্যামলী দম্পতিকে নির্যাতন ও মাথার চুল কর্তন ঘটনার মূল হোতা টর্চার রুহুল আমিন (৩৪) র্যাবের হাতে আটক হয়েছে। মামলার ১৯ দিন পর রাজশাহী থেকে র্যাব তাকে আটক করে। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় মহাদেবপুর থানা পুলিশে সোপর্দ করে। সে মহাদেবপুর উপজেলার দক্ষিণ হোসেনপুর বোয়ালমারী মোড়ের ভাটা ব্যবসায়ী মৃত আবুল কালামের ছেলে।
দুপুরে র্যাব-৫ রাজশাহীর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা গত বুধবার দিবাগত রাতে মহাদেবপুরে রুহুলের বাসা সংলগ্ন এলাকা থেকে তার অপকর্মের অন্যতম সহযোগী ও নির্যাতন মামলার ২নং আসামী তরিকুল ইসলামকে আটক করে। তার দেয়া তথ্যমতে শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টায় র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া উপজেলার আজির মোড় শাহী মসজিদ সংলগ্ন রুহুলের শশুর বাড়ী এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, বিকেলে তাকে নওগাঁ কোর্টে চালান দেয়া হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীনুল ইসলাম জানান, রুহুলকে ১০ দিনের রিম্যান্ডে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, মিঠুন-শ্যামলী দম্পতির নির্যাতনের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশের পর এলাকায় দারুন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে র্যাব তাদেরকে আটকের জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। অভিযুক্ত রুহুলের বয়লারে প্রায়ই মাদক ও যৌনকর্মকান্ডের আসর বসতো। রুহুল তার প্রাইভেট কার ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে মাদকের চালান পৌঁছে দিত। এসব কাজের বিরোধীতা করলে তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হতো। মাদকের আসরে জিম্মি করে অনেকের সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়া হতো বলেও উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র্যাব-৫, রাজশাহী এর ধারাবাহিক সফলতার পিছনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনিস্বীকার্য। সাংবাদিকদের নিকট থেকে পূর্বের ন্যায় সকল সহযোগীতা স্বত:স্ফুর্তভাবে কামনা করা হয়।