ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মৌলভীবাজারে ভ্রমণপিপাসুদের আগমন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবারও জেলা ব্যাপী পর্যটকদের পদচারণায় সেজে উঠছে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জসহ অন্যান্য উপজেলা। পর্যটন স্পটগুলোতে আগাম বুকিংয়ের সংখ্যা ৮০ শতাংশ ছুঁয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঈদের আগে বুকিং সম্পন্ন হয়ে যাবে শতভাগ।
এবার ঈদের ছুটি উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলার প্রায় ১০০টি পর্যটন স্পটে আগতদের জন্য প্রস্তুত আছেন রিসোর্ট, হোটেল এবং কটেজ মালিকরা। শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে অবস্থিত জনপ্রিয় পর্যটন স্পটগুলোতে মানুষের আগমন বাড়বে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
ঈদের আগে রিসোর্ট মালিকরা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে পর্যটকদের আগমনের অভাব থাকলেও ঈদের টানা ছুটির কারণে তাদের ব্যবসা পুনরায় চাঙ্গা হবে। অনেক হোটেল ও রিসোর্টে ইতোমধ্যে বুকিং সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী সজাগ রয়েছে। মৌলভীবাজারে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে থানা পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের সমন্বিত উদ্যোগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জের বিভিন্ন পর্যটন স্পট যেমন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, হামহাম জলপ্রপাত, মাধবপুর লেকসহ অন্যান্য স্থানগুলো এবার আরও বেশি পরিদর্শক আকর্ষণ করবে।
রিসোর্ট মালিকরা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে পর্যটন ব্যবসায় ভালো সাড়া পেয়েছেন তারা। এবারও বেশিরভাগ রিসোর্টের কক্ষ আগেই বুকিং হয়ে গেছে। তবে, কিছু জায়গায় এখনো বুকিং চলমান রয়েছে।
বিশেষ করে শ্রীমঙ্গলের রাধানগর এলাকায় অবস্থিত ইকো রিসোর্টের মালিক তানভিরুল আরেফিন লিংকন জানান, তাদের রিসোর্টের সব কক্ষই ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে এবারের ব্যবসা গত বছরের তুলনায় অনেক ভালো হবে।
এছাড়া, অন্যান্য রিসোর্ট মালিকরা জানান, ঈদের আগের ক্ষতি এই ছুটিতে পুষিয়ে নিতে সক্ষম হবেন তারা। এটি মৌলভীবাজারের পর্যটন শিল্পের জন্য একটি সুখবর হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই সকল রিসোর্ট ও হোটেল মালিকরা ঈদের ছুটিতে আরো অনেক পর্যটক আকর্ষণ করার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা আশা করছেন, এ বছর তাদের ব্যবসায় আরো অধিক আয় হবে।
এদিকে, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জের পর্যটন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ঈদ উপলক্ষে নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।