টাঙ্গাইলের বাসাইলে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারী শরিফুজ্জামান (রঞ্জু খন্দকার) হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ভূঞাপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে যমুনা সেতু-ভূঞাপুর সড়কের বাগবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শতশত মানুষের উপস্থিতিতে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে নিহত রঞ্জু খন্দকারের পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রঞ্জুর পিতা মো. আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার, স্ত্রী নূরি আক্তার, চাচা খন্দকার মজিবুর রহমান তপন, চাচি শিউলি আক্তার জুঁই, ডেইজি, আব্দুল আউয়াল, মো. লিপ্টন, মনিরুজ্জামান কাইয়ুম, তাহমিদুল হোসেন ইমরান, এইচ এম আল মামুন, মো. বাবলু মিয়া, মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, রঞ্জু খন্দকারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার পর মামলার পরও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তারা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান।
এদিকে, ২২ মার্চ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকায় রঞ্জু খন্দকারসহ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মীদের ওপর একদল হামলাকারী অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীদের মধ্যে মনির খান, ফরিদ খান, পলাশ, রিপন, তালেব খান ও ফরিদা ছিলেন। হামলায় রঞ্জু গুরুতর আহত হয় এবং প্রথমে তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। ২৩ মার্চ বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রঞ্জুর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী নূরি আক্তার বাদি হয়ে বাসাইল থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য দাবী জানানো হচ্ছে। নিহতের পরিবার এবং এলাকাবাসী দ্রুত বিচারের আশায় এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী আশাবাদী, রঞ্জু হত্যাকারীদের শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে এবং দ্রুততম সময়ে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। মানববন্ধনে বক্তারা রঞ্জু হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আরও কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এমনকি, মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, দ্রুত বিচার না হলে তারা আরও বড় ধরনের আন্দোলন করবেন এবং এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখবেন।
ভূঞাপুর উপজেলার পুলিশ প্রশাসনও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে। তবে এলাকাবাসীর দাবি, পুলিশ যেন দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের আটক করে আইনের আওতায় আনে।