ভূঞাপুরে দুর্ধর্ষ চুরি: নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে গহনা-টাকা লুট

এ ঘটনাটি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে যখন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, তাদের অজান্তে তাদের খাওয়ার পানিতে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই কারণে তারা সবাই অচেতন হয়ে পড়েছিলেন এবং দুর্বৃত্তরা তাদের অচেতন অবস্থায় চুরির কাজ সম্পন্ন করে চলে যায়। বাড়ির মালিকের ছেলে এখনও অসুস্থ রয়েছেন এবং হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

বাড়ির মালিকের মেয়ে বলেন, "গত মঙ্গলবার থেকে আমাদের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম, পরে আমি শশুর বাড়ি গিয়ে এসে দেখি সবাই অসুস্থ। আমার ভাইয়ের অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর বুধবার রাতে সবাই খাওয়ার পর রাতে ১১টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। শেষ রাতে সেহরি খেতে উঠলে দেখি ঘরের কাপড়চোপড় ও আসবাবপত্র এলোমেলো, আলমারি ভাঙা এবং ভেতরে কিছু নেই। সব কিছু নিয়ে চলে গেছে চোরেরা।"

এলাকাবাসী জানান, রাত চারটার দিকে পরিবারের ডাকচিৎকার শুনে তারা এগিয়ে আসেন এবং দেখেন ঘরের আলমারি সহ সবকিছু তছনছ করা হয়েছে। জানা গেছে, সাড়ে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ সাড়ে চার লক্ষ টাকা চুরি হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, "খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"