“নদীকে কেন্দ্র করেই সভ্যতা গড়ে উঠে। আমাদের বাচঁতে হলে নদীগুলোকে সচল রাখতে হবে। প্রকৃতির উপর আমরা যে অত্যাচার করি তা আমাদেরই ফেরত দেবে। তাই নদী রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি সাধারন মানুষকেও অর্থাৎ এর আশেপাশের ব্যবহারকারীদেরও ভুমিকা পালন করতে হবে”। বৃহষ্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বরিশালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পর্যায়ে নদী সংরক্ষণ শীর্ষক “উদ্বুদ্ধকরণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালায়” প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় নদী কমিশনের ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব ইকরামুল হক এ কথাগুলো বলেন।
বরিশাল সার্কিট হাউস সভাকক্ষে সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় তিনি আরো বলেন, নদীকে রক্ষায় অবৈধ দখল উচ্ছেদের পাশাপাশি সীমানা নির্ধারন নিশ্চিত করতে হবে। বন্ধ করতে হবে নদী দূষন। সরকার এজন্য বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহন করেছে বলে জানান তিনি। নদী দূষন, অবৈধ দখলদারিত্ব এবং অন্যান্য দূষণ থেকে নদী রক্ষা ও নদীর তথ্য ভান্ডার তৈরী ও সমীক্ষা প্রকল্পের (১ম পর্ব) আওতায় অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মুনিবুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রশান্ত কুমার দাস, কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মধু।
কর্মশালায় বরিশাল সদর উপজেলার কীর্তনখোলা নদীর কিছু চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, শুধুমাত্র এই একটি নদীর তীরবর্তী ৪ হাজার ৪২৩ টি স্থানে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মানসহ নানাভাবে দখল করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশী দখল হয়েছে নদীটির সিটি কর্পোরেশন এলাকার তীরবর্তী জায়গা। বক্তারা এসব উদ্ধারে ও নদী দূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।