প্রকাশ: ২ আগস্ট ২০২১, ১৮:১৪
আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসেই আসামীরা মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদেরকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানা ধরণের ভয়-ভীতি ও অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। ফলে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও ভূক্তভোগীদের অভিযোগে প্রকাশ, নেত্রকোনা জেলা পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের দামোধর ভিটি গ্রামের মৃত সাবুদ আলীর পুত্র মোঃ সামছুদ্দিনের সাথে জমি ও তৎসংলগ্ন এবতেদায়ী মাদরাসার জায়গা নিয়ে একই গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের পুত্র মোঃ শাহ্জাহান গংদের বিরোধ চলে আসছিল।
এরই জের ধরে শাহ্জাহান গংরা গত ১৯ জুলাই বিকাল ৩টার দিকে দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শামছুদ্দিনের স¦ত্ত দখলীয় জমিতে অনুপ্রবেশ করে এবতেদায়ী মাদরাসার টিন সেড ঘরটি ভেঙ্গে ফেলে এবং মাদরাসা সংলগ্ন জমির রোপনকৃত বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলে।
এ সময় শামছুদ্দিনের পুত্র রবিকুল ইসলামসহ অন্যরা বাঁধা প্রদান করতে গেলে হামলাকারীরা তাদেরকে বেদড়ক মারপিট করে। তাদের হামলায় রবিকুল ইসলাম (৪২), তার গর্ভবতী স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৩৮), মোজাম্মেল হক (৩০), মোঃ জাহিদুল ইসলাম (১৬), মোছাঃ রাশিদা আক্তার (৪৮), মোঃ ফজলুল হক (৫৫), মোঃ মাহবুব (২২), এনামুল হক (২৮) আহত হয়। স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে মোঃ শামছুদ্দিন বাদী হয়ে মোঃ শাহ্জাহান মিয়াসহ ১৬ জনকে আসামী করে ২৫ জুলাই পূর্বধলা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার পরপরই সকল আসামী গাঁ ঢাকা দেয়। গত ১লা আগষ্ট রবিবার মামলার ১৩ জন আসামী নেত্রকোনা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়ীতে এসেই মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদেরকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানা ধরণের ভয়-ভীতি ও অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকিতে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। মামলার বাদী ও তার পরিবারের লোকজন তাদের জানমাল রক্ষায় স্থানীয় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন।