গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাশাকৈর গ্রামে এক গৃহবধুকে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে একটি বসতবাড়ীর সেফটি ট্যাংকি থেকে লাশটি উদ্ধার করেন কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।নিহত ব্যক্তি ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কম্বলপাড়া গ্রামের সানোয়ার মিয়ার ছেলে রাসেলের স্ত্রী সেতু (১৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে কালিয়াকৈর উপজেলার বাশাকৈর এলাকার সানোয়ার মিয়ার ছেলে রাসেলের সাথে পার্শ্ববতি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার সেলিমনগর গ্রামের আজাহার মিয়ার কন্যা সেতুর বিবাহ হয় । বিয়ের পর তারা দুইজন কালিয়াকৈর উপজেলার বাশাকৈর এলাকায় লিয়াকতের বাসায় ভাড়া থেকে রাসেল স্থানীয় এক করাতকলে কাজ করতো।
তবে বিয়ের পরও টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থানার দুইল্ল্যা গ্রামের মাসুদ রানার ছেলে রাফি (২১) নামের এক যুবকের সাথে সেতুর পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। এ নিয়ে সেতু ও রাসেলের সংসারে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
এদিকে মঙ্গলবার বিকালে রাফি উপজেলার বাশাকৈর এলাকায় তার মামা রহুল আমীনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন।সেতুর সাথে থাকা জনৈকা প্রত্যক্ষধর্শী জানান ওই দিন মাঝ রাতে প্রেমিক রাফি অন্য একটি কক্ষে সেতুকে ডেকে নিয়ে যায়। প্রেমিক রাফি ওই কক্ষের ভিতর সেতুকে একাধিকবার জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে প্রেমিক রাফি গৃহবধু সেতুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পাশের বাড়ির একটি সেফটি ট্যাংকিতে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
তারপর বুধবার সকালে বাড়ির উঠানে সেতুর রক্তাক্ত জামাকাপড় দেখে রাফির মামা রুহুল আমীন আশেপাশে খোঁজ করেন। এক পর্যায়ে পায়ের চিহ্ন আর রক্ত দেখে শনাক্ত করে পাশের একটি সেফটি ট্যাংকিতে গিয়ে সেতুর লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহাম্মদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রাসেলসহ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে আরিফ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছ।