জামালপুরের বকশীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভিতরে এক কিশোরী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলা কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে আনসার বিডিপির নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় রোববার সকালে বকশীগঞ্জ থানায় নির্যাতিত ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষনের মামলা দায়ের করেন।
বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ জানায় , উপজেলা পরিষদের ভেতরে উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের নতুন একটি ভবনের কাজ চলছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ময়মনসিংহ থেকে শ্রমিক এনে কাজ করছেন। এরই সুবাধে ওই ভবনের ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপুনিয়া এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে ওই ভবন নির্মাণ শ্রমিক রবিন মিয়ার সাথে স্থানীয় নামাপাড়া এলাকার এক কিশোরীর পরিচয় হয়।
রোববার রাত ৩ টার দিকে নির্মাণ শ্রমিক রবিন মিয়া ওই কিশোরীকে আনসার ভিডিপি কার্যালয়ে আসতে বলেন। রবিনের ডাকে সাড়া দিয়ে তার সাথে দেখা করতে গেলে সেখানেই ধর্ষণের শিকার হন কিশোরী।
এঘটনা জানাজানি হলে সকালে নির্যাতিত কিশোরীর বাবা বকশীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধষন মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষনের শিকার কিশোরীর বাবা জানায় বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ এর ভিতর বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ চলছে।
ভবন নির্মানে স্থানীয় শ্রমিক ছাড়াও ময়মনসিংহ থেকে নির্মান শ্রমিক নিয়োগ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। নির্মানাধীন ভবনের সাথেই আমার বসত বাড়ী।
ময়মনসিংহ থেকে আগত রবিন রাতে ফোনে ডেকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষন করে। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ সকালে বাড়ী থেকে উদ্ধার থানায় নিয়ে আসে।
বকশীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শরিফ আহাম্মেদ জানান, ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রোববার জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়েরের পর বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ধর্ষক রবিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।