বাউফলে গণধর্ষণ, নারী ইউপি সদস্যকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

এক ধর্ষিত নারীকে সহায়তা করতে গিয়ে বাউফল থানায় হেনস্থার শিকার হয়েছেন চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মেম্বার নিলুফা বেগম। শুক্রবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত সহায়তাকরী ওই নারী ইউপি সদস্যকে থানায় বসিয়ে রেখে নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে ধর্ষণ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

 সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার(১ এপ্রিল) রাতে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের তিন সন্তানের এক জননী গণধর্ষণের শিকার হন।  ধর্ষণের শিকার নারীকে চিকিৎসাসেবা ও আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য এগিয়ে যান ইউপি সদস্য নিলুফা বেগম। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ধর্ষণের শিকার নারীকে নিয়ে তিনি থানায় যান। থানার নারী ও শিশু নির্যাতন হেল্প ডেস্কে গিয়ে অভিযোগ করেন ধর্ষণের শিকার নারী। 

ওই নারীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর ইউপি সদস্য নিলুফা বেগমকে থানায় সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত বসিয়ে রাখেন এসআই শেখ জাহিদ। রাত ২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়ার পর এক নিকট আত্মীয়ের বাসার গিয়ে আশ্রয় নেন নিলুফা বেগম। সারাদিন পুলিশ নিলুফা বেগমকে নানা ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। 

নিলুফ বেগম বলেন, আমি ভিকটিমের সাহায্যে এগিয়ে এসেছি। এটাই কি আমার অপরাধ ? আমাকে জোর করে মামলার ১ নম্বর স্বাক্ষী করা হয়েছে। আমি তো দেখিনি যে তাকে কে বা কারা ধর্ষণ করেছে? ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা ও পুলিশের তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে আসলে কি হয়েছে? বিষয়টির সঙ্গে জড়িয়ে আমাকে কেন হেনস্থা করা হচ্ছে? 

তিনি বলেন, সারাদিন থানায় আটকে রাখা হয়েছে,  আমার সঙ্গে তুই তুমি সম্বোধন করা হয়েছে। শনিবার ভোরে আমি এলাকায় যাওয়ার পর আসামী পক্ষের লোকজন আমাকে দেখিয়ে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এভাবে হলে ভবিষ্যতে কোন ভিকটিমের সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসবে না। 

অবশ্য বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন ইউপি সদস্য নিলুফা বেগমকে আটকে রেখে হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

এদিকে গণধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলার প্রধান আসামী কালাম (২৫)কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আজ শনিবার (৩ এপ্রিল) পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।